শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

আবদুল কাদের
প্রিন্ট ভার্সন
এআই বিপ্লব : আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যা যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করতে, শিখতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম করে তুলছে। এর প্রভাব বর্তমান বিশ্বে সুদূরপ্রসারী এবং বহুমুখী।  এটি সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে- যা আমাদের জীবনকে সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ করে তুলছে...

 

কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই) কী?

প্রযুক্তি বিশ্বে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জয়জয়কার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপ্লব মূলত এমন একটি পর্যায়কে বোঝায়- যেখানে এআই প্রযুক্তি শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্রুতগতিতে আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং শিল্প খাতে প্রবেশ করছে, এমনকি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনও এনেছে। যেখানে কম্পিউটার প্রোগ্রাম এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে তারা মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনুকরণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- ডেটা থেকে প্যাটার্ন শনাক্ত করা এবং অভিজ্ঞতা থেকে শেখা, লজিক ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া, জটিল পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা এবং ছবি, ভিডিও বা শব্দ থেকে তথ্য গ্রহণ ও ব্যাখ্যা প্রদান ইত্যাদি। এআই-এর মূল চালিকাশক্তি মেশিন লার্নিং (ML), ডিপ লার্নিং (DL) এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP)।

 

কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই)-এর বিবর্তন

কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই)-এর বিবর্তন

১৯৫১ সালে যখন ক্রিস্টোফার স্ট্রেচি তার চেকার্স প্রোগ্রাম দিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেরান্টি মার্ক ১ কম্পিউটারে একটি পুরো খেলা সম্পন্ন করেন, তখন থেকে এআই অনেকদূর এগিয়েছে। মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিংয়ের উন্নয়নে আইবিএমের ডিপ ব্লু ১৯৯৭ সালে দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে এবং কোম্পানিটির আইবিএম ওয়াটসন ২০১১ সালে জেপার্ডি (Jeopardy!)-তে জয়লাভ করে। তারপর থেকে জেনারেটিভ এআই এআই-এর বিবর্তনের সর্বশেষ অধ্যায়ের নেতৃত্ব দিয়েছে, যেখানে ওপেনএআই (OpenAI) ২০১৮ সালে তার প্রথম জিপিটি (GPT) মডেলগুলো প্রকাশ করে। এর ফলস্বরূপ ওপেনএআই তার জিপিটি-৪ও (GPT-4o) মডেল এবং চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) তৈরি করেছে, যা এআই জেনারেটরগুলোর দ্রুত প্রসারের দিকে পরিচালিত করেছে যা প্রাসঙ্গিক টেক্সট, অডিও, ছবি এবং অন্যান্য ধরনের বিষয়বস্তু তৈরি করতে প্রশ্ন করতে পারে। অন্যান্য কোম্পানিগুলোও তাদের নিজস্ব প্রতিযোগী মডেল নিয়ে এগিয়ে এসেছে, তন্মধ্যে গুগলের জেমিনি (Gemini), অ্যানথ্রোপিকের ক্লদ (Claude) এবং ডিপসিকের আর১ (R1) এবং ভি৩ (V3) মডেল, যা ২০২৫ সালের প্রথম দিকে শিরোনাম হয়েছিল। পরে এসব মডেল এবং অ্যালগরিদম-ভিত্তিক মেশিন লার্নিংয়ের ওপর নির্ভর করে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে আধুনিক ফিচার, তর্ক-যুক্তি এবং অন্যান্য সাধারণীকরণে মনোযোগ দেয়।

 

১০ বছর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভবিষ্যৎ কেমন ছিল?

১০ বছর আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভবিষ্যৎ কেমন ছিল?

দশকের পর দশক ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ভীতি এবং উত্তেজনা উভয়ই তৈরি করেছে। একসময় মানুষ ভাবতেও পারেনি- তাদের নিজেদের পরিবর্তে মেশিনকে কাজে লাগাতে পারবে। এ ধারণা ছিল না যে, বুদ্ধিমান যন্ত্রগুলো মানবসদৃশ বস্তু হতে পারে, তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) মাধ্যমে সে কাল্পনিক দৃশ্য বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মনুষ্য কার্যকলাপ যেমন দাবা (এইচএসইউ, ২০০২), গো (সিলভার এট আল, ২০১৬) এবং অনুবাদ (উ এট আল, ২০১৬)-এ মানুষের সক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়া সাফল্যের শিরোনাম তৈরি করলেও, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্তত ১৯৮০-এর দশক থেকে প্রযুক্তিবিশ্বে অল্প পরিচিত শব্দ ছিল। তারপর সার্কিট বোর্ড পরিদর্শন এবং ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি শনাক্তকরণের জন্য ‘এক্সপার্ট’-এর সিস্টেমগুলো মূলধারার প্রযুক্তিতে পরিণত হয়। একইভাবে, জেনেটিক অ্যালগরিদমগুলোর মতো এমএল পদ্ধতি দীর্ঘকাল কঠিন কম্পিউটিং সমস্যাগুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং নিউরাল নেটওয়ার্কগুলো কেবল মানুষের শেখার মডেল বা বোঝার জন্য নয়, মৌলিক শিল্প নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণের জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে। সম্ভবত- বায়েসিয়ান (Bayesian) পদ্ধতি ১৯৯০-এর দশকে মেশিন লার্নিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিল, যা আজকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এআই প্রযুক্তিগুলোর কাছাকাছি কিছু উদাহরণস্বরূপ বিশাল ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে অনুসন্ধান করার পথ প্রশস্ত করেছিল; যা ওয়েব ব্যবহারকারীদের কয়েকটা বাক্য টাইপ করে বিলিয়ন বিলিয়ন ওয়েব পৃষ্ঠার মধ্য থেকে তারা যে বিষয়বস্তু খুঁজছেন তা খুঁজে পেতে সক্ষম করে তুলেছিল।

 

পরিবহনে সম্ভাবনা

পরিবহনে সম্ভাবনা

আপনি যদি মনে করেন স্বচালিত যানবাহন এক অনন্য ভবিষ্যৎ, তবে ধারণাটি সঠিক। টেসলা, ওয়েমোর স্মার্ট গাড়ি ইতোমধ্যে বাজারে প্রবেশ করেছে। ২০১৫ সালে মাত্র ৮ শতাংশ অটোমোবাইল এবং অন্যান্য বাহনে এআই-চালিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা আজকের বিশ্বে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই শতাংশ ১০৯ ভাগ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই যানবাহনগুলোয় ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সিস্টেম রয়েছে- যা চালকদের সম্ভাব্য অতিরিক্ত যন্ত্রাংশের ব্যর্থতা, রুট এবং ড্রাইভিং নির্দেশাবলি, জরুরি অবস্থা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধমূলক পদ্ধতি এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কে নির্ভরযোগ্যভাবে অবহিত করে। তা ছাড়া ট্র্যাফিক প্যাটার্ন বিশ্লেষণ, পণ্যের ডেলিভারির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞান...

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞান...

স্বাস্থ্য খাতের তথ্য ও জ্ঞান পাওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ পরিবেশ তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এ খাতে বৈশ্বিকভাবে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে এআই। যার অন্যতম উদাহরণ হলো- এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই এবং প্যাথলজি রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য জটিল রোগ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা। নতুন ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সঠিক রোগীদের নির্বাচন করা। এমনকি রোগীর ডেটা বিশ্লেষণ করে তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি সুপারিশ করা। পাশাপাশি রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউলিং, নার্সিং স্টাফ বরাদ্দ এবং ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনার উন্নতি। অর্থাৎ আপনি যদি ডাক্তারের কাছে না-ও যান, এআই একটি ফিটনেস ব্যান্ড বা একজন ব্যক্তির মেডিকেল হিস্টরি থেকে ডেটা পড়ে, প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে এবং উপযুক্ত ওষুধের পরামর্শ দিয়ে রোগের নির্ণয় করতে পারে, যা সেল ফোনের মাধ্যমে সহজেই অর্ডার করা যায়। ফলে বলাই যায়, ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে এআই ব্যবহারকারীরা লাভবান হবে।

 

অর্থনীতি ও ফিন্যান্স

অর্থনীতি ও ফিন্যান্স

যে কোনো দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক পরিস্থিতি সরাসরি তার প্রবৃদ্ধি পরিমাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেহেতু এআই-এর কার্যত প্রতিটি শিল্পে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে, তাই এটি মানুষের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে। আজকাল ইক্যুইটি তহবিল ব্যবস্থাপনায় ‘এআই অ্যালগরিদম’ ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় জালিয়াতি শনাক্ত, শেয়ারবাজারে স্বয়ংক্রিয় লেনদেন, ব্যক্তির আর্থিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ক্রেডিট যোগ্যতা নির্ধারণ, এমনকি চ্যাটবট ব্যবহার করে গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং সহায়তা প্রদানেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, ভবিষ্যতের এআই-চালিত রোবো-উপদেষ্টা আর্থিক খাতে অগ্রনি ভূমিকা রাখবে।

 

সাইবার সিকিউরিটি

সাইবার সিকিউরিটি

এআই-সহায়তায় প্রাপ্ত সামরিক প্রযুক্তিগুলো স্বায়ত্তশাসিত (অটোমেটিক) অস্ত্র তৈরি করেছে। যার জন্য এখন আর মানুষের প্রয়োজন হয় না। এআই অস্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। ফলে একটি জাতির নিরাপত্তা উন্নত করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় তৈরি হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে আমরা রোবট সমর বাহিনী দেখতে পারি যা একজন সৈনিক/কমান্ডোর মতোই বুদ্ধিমান এবং বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম। এআই-সহায়তায় মিশনের কার্যকারিতা উন্নত করবে এবং নিরাপদ কার্যকারিতাও নিশ্চিত করবে। তা ছাড়া প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটির নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ আসছে। সাইবার নিরাপত্তা উন্নতকরণে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের ব্যবহার বাড়বে। সাইবার হামলার প্যাটার্ন শনাক্ত এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

 

শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

যে কোনো দেশের শিক্ষার স্তর সে দেশের অগ্রগতি নির্ধারণ করে। আজকের বিশ্বে উন্নত রাষ্ট্রগুলো তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এআই-এর কোর্স অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে ভবিষ্যতে এআই শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে। আজকাল উৎপাদন শিল্পে যেমন দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন নেই, কারণ রোবট এবং প্রযুক্তি তাদের বেশির ভাগই প্রতিস্থাপন করেছে। তেমনি শিক্ষাব্যবস্থা খুব কার্যকর হওয়ার এবং একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব এবং ক্ষমতা অনুযায়ী তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। এটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বিকশিত করবে। উদাহরণস্বরূপ- শিক্ষার্থীদের শেখার ধরন ও দুর্বলতা বুঝে কাস্টমাইজড কোর্সওয়ার্ক তৈরি, এআই-চালিত ভার্চুয়াল টিউটর এবং শিক্ষার্থীদের লেখা বা পরীক্ষার উত্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যায়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার শিক্ষাব্যবস্থার মান বৃদ্ধি করছে।

 

আছে নানাবিধ শঙ্কাও...

আছে নানাবিধ শঙ্কাও...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বর্ণযুগে পা রেখেছে বিশ্ব। এরই মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের নমুনা দেখে চোখ কপালে উঠেছে সবার। হুবহু যে কোনো মানুষের কণ্ঠস্বর নকল করছে ভয়েস ক্লোনিং নামের প্রযুক্তি। এর জন্য কাউকে মাত্র কয়েক মিনিট তার কণ্ঠের রেকর্ডিং করে দিতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়্যার জেনে যায় তার কণ্ঠের আওয়াজ, তার বাচনভঙ্গি- কীভাবে ওই ব্যক্তি কথা বলেন। তা ছাড়া শুধু কণ্ঠস্বর নয়- গোটা মানুষের ভিডিও নকল করা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে। ডিপফেক নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক ও সমালোচনা দেখা গেছে। এর মাধ্যমে নকল ভিডিও তৈরি হয় অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আপনার মুখের সঙ্গে অন্য কোনো ব্যক্তির শরীর জুড়ে দিয়ে ভিডিও বানানো হয়। এ প্রযুক্তি দিয়ে হুবহু নকল ভিডিও বানানো সম্ভব হচ্ছে। মেশিন লার্নিং প্রয়োগের মাধ্যমে দিন দিন নিখুঁতভাবে নকল ভিডিও বানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেলেব্রিটি অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। অনেকের নগ্ন ছবি, ভিডিও, অডিওবার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন সাইবার অপরাধীরা। প্রথম দেখায় বেশির ভাগ মানুষই বুঝতে পারেননি এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো- কিবোর্ডের টাইপের শব্দ শুনে পাসওয়ার্ড চুরি করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। স্মার্টফোনে কাজটি করছে মাইক্রোফোন ব্যবহার করে। এআই নিয়ে কাজ করেন এমন নেতৃস্থানীয় প্রযুক্তিবিদরা মনে করেন, মানুষের অস্তিত্বের জন্যও হুমকি হতে পারে এআই। তাদের ভাষ্য- মহামারি এবং পারমাণবিক যুদ্ধের মতো ঝুঁকি বলে বিবেচনা করা উচিত।

 

কৃষি ও উৎপাদন শিল্প

কৃষি ও উৎপাদন শিল্প

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। পাশাপাশি উৎপাদন শিল্প তথা- শিল্প কারখানাগুলোয় এআইয়ের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধু খাদ্যে স্বনির্ভরতা নয়, একটি দেশের শক্তিশালী রপ্তানিমুখী অর্থনীতিতে রূপান্তর করা সম্ভব। বিশ্ব অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি খাতের ভূমিকা অতিপ্রাচীন। তবে আজকের উন্নত দেশগুলো কৃষি খাতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে আগের চেয়ে বহুগুণে। যার ফলাফলও বেশ চমকপ্রদ। আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে স্মার্ট ফার্মিং অর্থাৎ মাটির অবস্থা বিশ্লেষণ, ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এবং স্বয়ংক্রিয় সেচ ব্যবস্থা পরিচালনা ক্যামেরা ও এআই ব্যবহার করে ফসলের রোগ বা পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত  এমনকি রোবট ব্যবহার করেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফসল কাটার কাজগুলো সেরে নেওয়া যাচ্ছে। তা ছাড়া শিল্প কারখানাগুলোয় এআই-এর ব্যবহারের ফলে উৎপাদন শিল্পে পণ্যের মান বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা - আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা - আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আশীর্বাদ হতে পারে, যদি-

► আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পরিবহন এবং যোগাযোগের মতো মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক উন্নতি আনতে পারে, তবে তা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়াবে। রোগনির্ণয় ও চিকিৎসায় নির্ভুলতা বাড়বে, ব্যক্তিগত শিক্ষা প্রতিটি শিক্ষার্থীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে এবং স্বচালিত পরিবহন ব্যবস্থা দুর্ঘটনা ও যানজট কমিয়ে দেবে।

► শিল্প ও অর্থনীতিতে এআই অভূতপূর্ব উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়াগুলো দক্ষতা বাড়াবে, খরচ কমাবে এবং মানবসম্পদকে আরও সৃজনশীল ও জটিল কাজে নিযুক্ত করার সুযোগ দেবে।

► জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য এবং নতুন রোগের মতো বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশাল ডেটা সেট বিশ্লেষণ করে এআই এমন সব প্যাটার্ন খুঁজে বের করতে পারে যা মানুষের পক্ষে অসম্ভব।

► যদিও কিছু চাকরি হারানোর আশঙ্কা আছে, এআই একই সঙ্গে নতুন শিল্প এবং নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করবে। এআই ডেভেলপার, এআই এথিসিস্ট, ডেটা সায়েন্টিস্ট ইত্যাদি। মানুষ শুধু এআই সিস্টেম ডিজাইন, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করবে।

► এআই মানুষের সক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, মানব-যন্ত্র সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন সব কাজ করতে পারব যা আগে অকল্পনীয় ছিল। যেমন- সার্জনরা এআই-নির্ভর রোবটের সাহায্যে আরও নির্ভুলভাবে অপারেশন করতে পারবেন।

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভিশাপ হতে পারে, যদি-

► যদি এআই দ্রুতগতিতে মানুষের কাজ কেড়ে নেয় এবং নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি না হয়, তাহলে বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দেখা দিতে পারে। যারা এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ নয়, তারা পিছিয়ে পড়বেন।

► কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা এআই-এর নৈতিক ব্যবহার নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। যেমন- এআই বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে, যা গোপনীয়তার ঝুঁকি তৈরি করে।

► যদি এআই সিস্টেমকে পক্ষপাতদুষ্ট ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তাহলে এটি সমাজে বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, যেমন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বা বিচার ব্যবস্থায়।

► কিছু জটিল এআই মডেল (যেমন ডিপ লার্নিং) কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তা বোঝা কঠিন, যাকে ‘ব্ল্যাক বক্স’ সমস্যা বলা হয়। এটি তাদের সিদ্ধান্তগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

► এআই-চালিত অস্ত্র ব্যবস্থার উন্নয়ন যুদ্ধের প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারে এবং মানব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, যা বিপর্যয় তৈরি করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
লোকমুখে দিবর দিঘির কল্পকথা
লোকমুখে দিবর দিঘির কল্পকথা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সর্বশেষ খবর
ডিপসিকের হাত ধরে এআই জগতে নতুন সংযোজন
ডিপসিকের হাত ধরে এআই জগতে নতুন সংযোজন

৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চলছে রিভিউ শুনানি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চলছে রিভিউ শুনানি

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

শুল্কের চাপের মধ্যেই ১০৩টি বোয়িং কিনবে কোরিয়ান এয়ার
শুল্কের চাপের মধ্যেই ১০৩টি বোয়িং কিনবে কোরিয়ান এয়ার

১০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিম জং–উনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
কিম জং–উনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার্জে থাকা অটোরিকশায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা-মেয়ের
চার্জে থাকা অটোরিকশায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা-মেয়ের

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অপু বিশ্বাস জানালেন, ‘আমি বিবাহিত’ – তবে প্রকাশ্যে আনতে নারাজ
অপু বিশ্বাস জানালেন, ‘আমি বিবাহিত’ – তবে প্রকাশ্যে আনতে নারাজ

২৫ মিনিট আগে | শোবিজ

আজ থেকে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার শুরু
আজ থেকে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিচার শুরু

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানোয় তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রীকে জরিমানা
গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানোয় তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রীকে জরিমানা

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চতুর্থবার হাবিবের সঙ্গে কণ্ঠ দিলেন আতিয়া
চতুর্থবার হাবিবের সঙ্গে কণ্ঠ দিলেন আতিয়া

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

ভেন্যু জটিলতা কাটছে না বার্সেলোনার
ভেন্যু জটিলতা কাটছে না বার্সেলোনার

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাজিরায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
জাজিরায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিজিবির অভিযানে ৪টি অস্ত্র ও ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
বিজিবির অভিযানে ৪টি অস্ত্র ও ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে ইয়াবাসহ সিএনজি জব্দ, চালক আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ সিএনজি জব্দ, চালক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গুগল সার্চে এআই মোড চালু: ব্যবহার করবেন যেভাবে
গুগল সার্চে এআই মোড চালু: ব্যবহার করবেন যেভাবে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার’, রয়টার্সকে বিশ্বাসঘাতক বলে পদত্যাগ সাংবাদিকের
‘প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার’, রয়টার্সকে বিশ্বাসঘাতক বলে পদত্যাগ সাংবাদিকের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা
ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস, কমতে পারে তাপমাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মহাকাশ থেকে পৃথিবী কেমন দেখায় জানালেন নভোচারীরা
মহাকাশ থেকে পৃথিবী কেমন দেখায় জানালেন নভোচারীরা

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কাজী নজরুল গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা : রিজভী
কাজী নজরুল গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা : রিজভী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানী ঢাকায় কোথায় কোন কর্মসূচি আজ
রাজধানী ঢাকায় কোথায় কোন কর্মসূচি আজ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং
রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লা কারাগারে হত্যা মামলার আসামির সন্তান প্রসব
কুমিল্লা কারাগারে হত্যা মামলার আসামির সন্তান প্রসব

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপশক্তি রুখতে হবে যে কোনো মূল্যে
অপশক্তি রুখতে হবে যে কোনো মূল্যে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে
প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের
বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বন্ধুর জানাজায় ভাইরাল কান্নার সুধীর বাবু আর নেই
বন্ধুর জানাজায় ভাইরাল কান্নার সুধীর বাবু আর নেই

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত
গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুমমেটকে ছুরিকাঘাত, ভিপি প্রার্থী জালাল হল থেকে বহিষ্কার
রুমমেটকে ছুরিকাঘাত, ভিপি প্রার্থী জালাল হল থেকে বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
‘মুনিয়ার মতো তোমাকেও সরিয়ে দেব’—ভুক্তভোগী নারীকে তৌহিদ আফ্রিদির হুমকি
‘মুনিয়ার মতো তোমাকেও সরিয়ে দেব’—ভুক্তভোগী নারীকে তৌহিদ আফ্রিদির হুমকি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের ফোন ধরছেন না মোদি, দাবি রিপোর্টে
ট্রাম্পের ফোন ধরছেন না মোদি, দাবি রিপোর্টে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার মাদকসহ নারী যাত্রী আটক
শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার মাদকসহ নারী যাত্রী আটক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হলো মিয়ানমারের ঐতিহাসিক রেলসেতু
বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হলো মিয়ানমারের ঐতিহাসিক রেলসেতু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩ মাসের জন্য স্থগিত ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ
৩ মাসের জন্য স্থগিত ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাসির উদ্দিন সাথীর বিরুদ্ধে জোর করে মাই টিভি-জমি-বাড়ি দখলের অভিযোগ
নাসির উদ্দিন সাথীর বিরুদ্ধে জোর করে মাই টিভি-জমি-বাড়ি দখলের অভিযোগ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও নারী নির্যাতনসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও নারী নির্যাতনসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাক থামিয়ে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় ভয়াবহ যানজট
ট্রাক থামিয়ে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় ভয়াবহ যানজট

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এশিয়া কাপ ২০২৫: এক নজরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর স্কোয়াড
এশিয়া কাপ ২০২৫: এক নজরে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর স্কোয়াড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রুমমেটকে ছুরিকাঘাত, ভিপি প্রার্থী জালাল হল থেকে বহিষ্কার
রুমমেটকে ছুরিকাঘাত, ভিপি প্রার্থী জালাল হল থেকে বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১২০ টাকায় গরুর মাংস আমদানির কথা ভিত্তিহীন : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
১২০ টাকায় গরুর মাংস আমদানির কথা ভিত্তিহীন : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংবিধানের মৌলিক নীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হোন: ড. কামাল হোসেন
সংবিধানের মৌলিক নীতি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হোন: ড. কামাল হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ
বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধার পরিশোধ না করায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জনের পদাবনতি
ধার পরিশোধ না করায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহার রঞ্জনের পদাবনতি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত ভ্যাট নিরীক্ষা বন্ধ থাকবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইরানের
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইরানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন দফা দাবির সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের
তিন দফা দাবির সমাধান না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে
প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুইদিন বন্ধ থাকবে ঢাবি মেট্রো স্টেশন
দুইদিন বন্ধ থাকবে ঢাবি মেট্রো স্টেশন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি
শপথ নিলেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং
রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বুধবার থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক, নোটিশ জারি যুক্তরাষ্ট্রের
বুধবার থেকে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক, নোটিশ জারি যুক্তরাষ্ট্রের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে
তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে পুলিশের ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ডাকযোগে পণ্য পাঠানো স্থগিত করল ২৫ দেশ
যুক্তরাষ্ট্রে ডাকযোগে পণ্য পাঠানো স্থগিত করল ২৫ দেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় শান্তি চুক্তি বিলম্বের চেষ্টা করছে ইসরায়েল: কাতার
গাজায় শান্তি চুক্তি বিলম্বের চেষ্টা করছে ইসরায়েল: কাতার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করলো অস্ট্রেলিয়া
ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করলো অস্ট্রেলিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের নতুন ট্যাঙ্ক ঘিরে জল্পনা-কল্পনা
চীনের নতুন ট্যাঙ্ক ঘিরে জল্পনা-কল্পনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় জাপানি ভাষা শিক্ষার স্কুল চালু
ঢাকায় জাপানি ভাষা শিক্ষার স্কুল চালু

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস
মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

তদন্তের আওতায় ব্যাংক খাত
তদন্তের আওতায় ব্যাংক খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখ থুবড়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষা
মুখ থুবড়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রচার শুরু, হাড্ডাহাড্ডির আভাস
প্রচার শুরু, হাড্ডাহাড্ডির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শামা, গণসংযোগে বুলু
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শামা, গণসংযোগে বুলু

নগর জীবন

তানজিদ-পারভেজ জুটিই ভরসা
তানজিদ-পারভেজ জুটিই ভরসা

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি তকমা দিয়ে পুশব্যাক করা হচ্ছে
বাংলাদেশি তকমা দিয়ে পুশব্যাক করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের দিবাস্বপ্ন
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানের দিবাস্বপ্ন

সম্পাদকীয়

প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে
প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে মনোনয়নযুদ্ধ মাঠে আছেন অন্য প্রার্থীরাও
বিএনপিতে মনোনয়নযুদ্ধ মাঠে আছেন অন্য প্রার্থীরাও

নগর জীবন

থামছেই না স্বজনদের কান্না, চাইলেন বিচার
থামছেই না স্বজনদের কান্না, চাইলেন বিচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাসের সাক্ষী পোদ্দারবাড়ি
ইতিহাসের সাক্ষী পোদ্দারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সামনে আবারও নেপাল
বাংলাদেশের সামনে আবারও নেপাল

মাঠে ময়দানে

সত্য নাকি স্টান্টবাজি...
সত্য নাকি স্টান্টবাজি...

শোবিজ

ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রাখুন
ড. ইউনূসের ওপর আস্থা রাখুন

প্রথম পৃষ্ঠা

চূড়ান্ত পর্বের অপেক্ষায় নেইমার!
চূড়ান্ত পর্বের অপেক্ষায় নেইমার!

মাঠে ময়দানে

ঢাকায় নজরুল সাহিত্যের যত চলচ্চিত্র
ঢাকায় নজরুল সাহিত্যের যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

হকি দল ভারতে
হকি দল ভারতে

মাঠে ময়দানে

শুল্কসুবিধার পোশাক অর্ডারে তিন চ্যালেঞ্জ
শুল্কসুবিধার পোশাক অর্ডারে তিন চ্যালেঞ্জ

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢেলে সাজানো হচ্ছে শুভাঢ্যা খাল
ঢেলে সাজানো হচ্ছে শুভাঢ্যা খাল

নগর জীবন

মাইনাস হয়ে যাবে নির্বাচন বয়কটকারীরা
মাইনাস হয়ে যাবে নির্বাচন বয়কটকারীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

পড়ে আছে ১২ কোটি টাকার চারটি ‘রোড মেইনটেন্যান্স ট্রাক’
পড়ে আছে ১২ কোটি টাকার চারটি ‘রোড মেইনটেন্যান্স ট্রাক’

নগর জীবন

অনেক সংস্কৃতিকর্মীর স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না
অনেক সংস্কৃতিকর্মীর স্বৈরাচারের জন্য মায়াকান্না

নগর জীবন

রাজশাহীতে হেযবুত তওহীদের সভা পণ্ড
রাজশাহীতে হেযবুত তওহীদের সভা পণ্ড

নগর জীবন

কী শিখল বাংলাদেশ
কী শিখল বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

ভারতের নৌবাহিনীতে নতুন দুই রণতরি
ভারতের নৌবাহিনীতে নতুন দুই রণতরি

পূর্ব-পশ্চিম

বাদল রায়ের নেতৃত্বে মোহামেডান লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল একবার
বাদল রায়ের নেতৃত্বে মোহামেডান লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল একবার

মাঠে ময়দানে

সেনাবাহিনীর পিকআপে ট্রাকের ধাক্কা, আহত ৯
সেনাবাহিনীর পিকআপে ট্রাকের ধাক্কা, আহত ৯

দেশগ্রাম

ফলাফল
ফলাফল

মাঠে ময়দানে