ভারতের মহারাষ্ট্রে নিজের স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন এক নারী। সঙ্গে ছিলেন তার প্রেমিক।
এরপর তারা এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালানোর চেষ্টা করে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেরিয়ে আসে হত্যার রহস্য।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩ বছর আগে বিয়ে করেন চন্দ্রসেন রামটেক (৩৮) ও দিশা রামটেক (৩০)। তাদের দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান আছে। দুই বছর আগে প্যারালাইসিস হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন চন্দ্রসেন। এরপর সংসার চালানোর জন্য পানির বোতল বিক্রি শুরু করেন দিশা। এর আগে দিশার চরিত্র নিয়ে বেশ কয়েকবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চন্দ্রসেনা। এতে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।
দুই মাস আগে আসিফ ইসলাম আনসারি ওরফে রাজাবাবু টায়ারওয়ালার সঙ্গে পরিচয় হয় দিশার। যিনি পেশায় একজন মিস্ত্রী। কয়েক দিনের ব্যবধানে তাদের পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। এরই মাঝে দিশার অবৈধ প্রেম সম্পর্কে জানতে পারেন তার স্বামী। ফলে দু’জনের মধ্যে পারিবারিক কলহ চরমে পৌঁছে। এর জেরেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দিশা।
জানা গেছে, শুক্রবার চন্দ্রসেন যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখন প্রেমিক আসিফকে বাড়িতে আনেন দিশা। এরপর দিশা চন্দ্রসেনকে চেপে ধরেন এবং আসিফ চন্দ্রসেনের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর চন্দ্রসেনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। শুরুতে চন্দ্রসেনের মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালানোর চেষ্টা করে দিশান। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে সত্য সামনে আসে। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সত্য স্বীকার করেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ডেকান হেরাল্ড, পিটিআই
বিডি প্রতিদিন/একেএ