চট্টগ্রাম নগরীর রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরা করার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার সুমন (৩৫) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ সুয়াগাজী এলাকার মো. সুন্দর আলীর ছেলে। তার আট বছর বয়সি একটি সন্তান রয়েছে। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১০ বছর আগে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর সুমন কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আরব যান ও ভিসাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশে ফিরে এসে নগরীতে নিজের ক্রয় করা একটি পিকআপ চালাতে শুরু করেন।
র্যাব-৭ জানায়, ৯ জুলাই রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে গুম করার চেষ্টা করেন ঘাতক স্বামী। পরে সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পানির ফ্ল্যাশের শব্দ শুনে দশম তলায় ঘাতক সুমনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করলে প্রায় ৩০ মিনিট পর সুমন বাসার দরজা খোলেন। বাসায় অস্বাভাবিক নড়াচড়া ও পানির শব্দের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সুমন এলোমেলো কথাবার্তা বলে ও সিকিউরিটি গার্ডকে বাসায় প্রবেশ করতে বাধা দেন। সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান জোরপূর্বক সুমনের বাসায় ঢুকে রুমের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ, বাথরুমের ভিতরে রক্তমাখা কাপড় এবং কমোডে মাংস দেখতে পেয়ে বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেন। এ সময় ঘাতক সুমন বাসার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান। পরে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের (৩২) ক্ষতবিক্ষত শরীরের অংশবিশেষ এবং রুমের খাটের নিচ থেকে পায়ের অংশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ফাতেমার বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন।