রাজধানীর শ্যামলীতে জামাকাপড় নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। অন্যদিকে পল্লবীতে ৫ কোটি টাকার জন্য ঘটেছে তুলকালাম কাণ্ড।
শুক্রবার শ্যামলীর ছিনতাইয়ের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, ছিনতাইকারীরা এক পথচারী যুবকের সঙ্গে থাকা সবকিছু নেওয়ার পর তার গায়ের পোশাক ও পায়ের জুতাও খুলে নেয়। গতকাল শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো ধরনের অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শুক্রবার ভোর ৬টায় শ্যামলী ২ নম্বর রোডে কাজী অফিসের দিক থেকে ছাতা হাতে এক যুবককে হেঁটে যেতে দেখা যায়। তার পেছন দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিনজনকে আসতে দেখা যায়। ভুক্তভোগীর কাছে এসে মোটরসাইকেলের পেছনের ব্যক্তি নেমে পড়েন। বাকি দুজন মোটরসাইকেলটি ইউটার্ন নিয়ে ভুক্তভোগীর সামনে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় চালকের পিছে থাকা অন্য ছিনতাইকারীও নেমে পড়ে। ওই তিন ছিনতাইকারীর মধ্যে দুজনকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এবং একজনকে খালি গায়ে দেখা গেছে। পরে দুই ছিনতাইকারী ভুক্তভোগীর কাছে থাকা টাকাসহ সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয় দেখানো হয় এবং তার জামা ও জুতা খুলে নিতেও দেখা গেছে। ছিনতাই শেষে মোটরসাইকেলে চেপে ওই তিন ছিনতাইকারীকে আবারও কাজী অফিসের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে রাজধানীর পল্লবীতে চাঁদা না দেওয়ায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পল্লবীর আলব্দিরটেকে এ কে বিল্ডার্স নামে একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে এ হামলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করেছে। দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা আহত হন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনাটি গুরুত্বসহ তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানায়, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান। জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন- গত ২৭ জুন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমবার হামলা করা হয়। এরপর ৪ জুলাই আবার হামলা করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তারা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এই জিডির পরদিন শুক্রবার আবারও হামলার ঘটনা ঘটে।