আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ১০০১ জন শিক্ষকের নামে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এ শিক্ষকরা এ রায়কে প্রহসন দাবি করে প্রতিবাদ করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহবুব আলম প্রদীপ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে বিবৃতিতে নাম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন। বিবৃতিতে শিক্ষকদের নাম ছাড়া তাদের কোনো স্বাক্ষর, বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখ নেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায় প্রহসনমূলক এবং অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন তার স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়বিচারবিরোধী কার্যকলাপের মাধ্যমে একটি ক্যাঙ্গারু আদালতের রূপ ধারণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত এ দেশের কোটি কোটি মানুষ আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এমন ঘৃণ্য, ষড়যন্ত্রমূলক এবং পূর্বনির্ধারিত রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং ক্যাঙ্গারু কোর্টের প্রহসনমূলক রায়কে ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান, ‘কে বা কারা এটা করেছে আমি অবগত নই। আমি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই।’ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক উমর ফারুক বলেন, ‘এটা উড়ু চিঠির মতোই তো হলো। আমি বিবৃতিতে সম্মত হলাম, অথচ নিজেই জানি না।’ রসায়ন বিভাগের শিক্ষক লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, ‘হঠাৎ শিক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টি জানাল। জেনে অবাক হলাম। এটা তো কোনো বিবৃতির পদ্ধতি না।
যদি দিতাম, তাহলে তো আনুষ্ঠানিকভাবেই সেটা জানাতাম। এগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।’ চারুকলা অনুষদের ড. সুজন সেন বলেন, ‘আমি জানিই না। হঠাৎ শুনে অবাক হলাম। এর সঙ্গে আমি সংশ্লিষ্ট নই।’ এ ছাড়া স্বাক্ষরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহবুব আলম প্রদীপের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, তিনি শিক্ষা ছুটিতে আছেন।