তেহরানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইরানি কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক আঞ্চলিক উত্তেজনা ও প্রতিরক্ষা নীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। প্যানেল আলোচনায় পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গোপন তথ্য অপব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় লক্ষ্যভিত্তিক হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের আচরণ আইএইএ'র বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ইসলামি আরও জানান, ইরানের কর্মসূচি শুরু থেকেই স্বচ্ছ ছিল এবং দেশটি বহিরাগত চাপ উপেক্ষা করে তার বৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
এদিকে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি ও শীর্ষ উপদেষ্টা কামাল খাররাজি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, শক্তির প্রদর্শন করে কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তারা সমতার ভিত্তিতে আলোচনার পরিবেশ তৈরি, পারস্পরিক সম্মান ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পক্ষে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে একতরফা হুমকি, নিষেধাজ্ঞা ও চাপের নীতি প্রত্যাখ্যান করেন।
সম্মেলনে আরাঘচি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় মিত্রের সমর্থনে ইসরায়েলের আগ্রাসন লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এটি ইরানের জাতীয় সংহতি, প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শান্তিপূর্ণ কূটনীতির প্রতি অঙ্গীকার আরও সুদৃঢ় করেছে।
আলোচনা শেষে সম্মেলন জানায়, ইরান সংলাপ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বৈধ অধিকারের সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও পারমাণবিক কার্যক্রম শক্তিশালী করতে থাকবে।
সূত্র: মেহের নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল