রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ায় হামলা চালানো হয় ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব কচুয়া ফকিরপাড়া এলাকায় মানিক মিয়ার বসতবাড়ির প্রাচীর টপকে তিন-চারজন চোর ঘরে ঢোকে। তারা বারান্দা থেকে একটি প্লাটিনা মোটরসাইকেল, বিছানার নিচে থাকা ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং শোকেসে থাকা প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী বিথী বেগম সাংবাদিকদের জানান, তিনি সন্দেহভাজন রাশেদুল ইসলামকে মানিক মিয়ার বাড়ির পাশ থেকে একটি মই টেনে নিজের বাড়ির দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন। তার চিৎকারে আরও তিনজন লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
সকালে মানিক মিয়া থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের খবর জানাজানি হতেই সন্দেহভাজন পক্ষের কয়েকজন লোক ক্ষিপ্ত হয়ে মানিক মিয়াকে না পেয়ে তার চাচাতো ভাই নুরুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বল্লম, ছোরা ও লোহার রড নিয়ে হামলাকারীরা নুরুল ইসলামের পেট এবং হাতে আঘাত করেন। এ সময় নূরুল ইসলামকে বাঁচাতে গেলে পরিবারের আরও পাঁচজন সদস্য আহত হন। পরে গুরুতর আহত নুরুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার মারা যান। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের স্ত্রী শরিফা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে কোনো কারণ ছাড়াই কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই। স্থানীয় রাসেল মিয়া বলেন, রাশিদুল, সুজন, মানু রিপনসহ ৮-১০ জন বল্লম ও ছোরা নিয়ে হামলা চালায়। মামলার বাদী মানিক মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি এটাই অপরাধ। তারা আমার চাচাতো ভাইকে হত্যা করছে। তাদের পরিবারে পুলিশ সদস্য থাকায় আমরা পুলিশের কোনো সহযোগিতা পাইনি। তবে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।