পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ১১ মাসেও সফলতার মুখ দেখেনি সরকার। বাজারে আগের মতোই পলিথিনের সরবরাহ বজায় রয়েছে। ৫ অক্টোবর থেকে প্রশাসনের প্রাণ কেন্দ্র সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক/পলিথিন নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়। তবে কাজ হয়নি নিষেধাজ্ঞায়। গতকালও পলিথিন হাতে হাজির হতে দেখা যায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। গেটে সেসব পলিথিন জমা রেখে দেওয়া হয় কাপড়ের ব্যাগ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তিনটি মনিটরিং টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক (এসইউপি) নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল সকাল ৯টার আগেই সচিবালয়ের ২ ও ৫ নম্বর গেটে শুরু হয় এই কার্যক্রম। মনিটরিং টিমের পাশাপাশি সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তল্লাশি চালাতে দেখা যায়।
এ সময় দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিনেও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দর্শনার্থী পলিথিনের ব্যাগে খাবারসহ নানা জিনিস নিয়ে হাজির হচ্ছেন। এ সময় তাদের থেকে সেইসব পলিথিন জব্দ করে পরিবেশবান্ধব কাপড়ের ব্যাগ সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে এসইউপি নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ না করার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
গেটে দায়িত্বরত কয়েকজন বলেন, সচিবালয়ে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যেই পলিথিন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করা যাচ্ছে না। সেখানে সারা দেশের কী অবস্থা তা সহজে অনুমানযোগ্য। তবে অনেকে কাপড়ের ব্যাগ পাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা ভুলে যাওয়ার ভান করে পলিথিন নিয়ে আসছেন বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম কেবল শুরু মাত্র। ধাপে ধাপে সারা দেশে সরকারি অফিসে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।