বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী বসতি মেলা গতকাল শেষ হয়েছে। এই মেলায় বসুন্ধরা আবাসন নিয়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জানার আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। তারা প্লট-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। বিশেষ করে ঢাকার মধ্যে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় বসুন্ধরা আবাসনের দিকে নজর ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের।
এ ছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় খেলার মাঠ, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, সুপার শপসহ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল বেশি। তারা প্লটের আকার, দাম ও কেনার পদ্ধতিসহ নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ইস্টওয়েস্ট প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট (প্রাইভেট) লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. জহিরুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অল্প কিছু প্লট রয়েছে। ওখানে রয়েছে তিন, চার, পাঁচ, ১০ কাঠার প্লট। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক প্লটও রয়েছে। অনেক ক্রেতা এসেছেন, প্লট সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। তারা প্লট সম্পর্কে, প্লটের দাম, কী পদ্ধতিতে প্লট বিক্রয় করা হয় এবং আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। ভবিষ্যৎ প্রজেক্ট সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন অনেকে। তিনি আরও বলেন, দেশে আবাসনের সংকট রয়েছে, একই সঙ্গে চাহিদাও ব্যাপক। এটা বর্তমানেও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে প্লটের দিকে মানুষের আগ্রহটা একটু বেশি। কারণ প্লট কিনলে লাভ হয় বেশি। বিশেষ করে যারা বসুন্ধরা আবাসিকে বিনিয়োগ করেছেন, তারা অনেক লাভবান হয়েছেন। বর্তমানে তাদের বিনিয়োগ ১০০ শতাংশ লাভ। যার জন্য বসুন্ধরা আবাসনের দিকে সবার নজর। বসতি মেলায় স্টলগুলোতে মানুষ ভিড় করছেন এবং সেগুলো ঘুরে দেখছেন, যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পরিকল্পিত আবাসন, দুর্যোগ-সহনশীল প্রকল্প এবং পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী প্রদর্শন করছে।
রাজউকের আয়োজনে গত সোমবার শুরু হয় বসতি মেলা। গতকাল ছিল মেলার সমাপনী দিন। আবাসন খাত, বিভিন্ন লিকেজ প্রতিষ্ঠান, ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল মেলায়।