গোপালপুর ও ভূঞাপুর দুই উপজেলা নিয়ে টাঙ্গাইল-২ আসন গঠিত। বিএনপি, জামায়াত ও গণঅধিকার পরিষদের একজন করে প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও একাধিকবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম পিন্টু। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় ১৭ বছর কারাভোগ করেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। এদিকে একক প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির মাঠে কাজ করছেন। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী দলটির দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী জেলা শাখার সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি আবদুল মালেক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি ফজলে বারি ভুয়াপুরী রয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম পিন্টু বলেছেন, এ আসনে বিএনপির কোনো কোন্দল নেই। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আমি ছাড়া কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী নেই। সুসংগঠিত দলের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আসনটি উপহার দিতে পারব। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা হুমায়ুন কবির বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথম কাজ হবে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা বন্ধ করা। সরকারি উন্নয়নমূলক কাজগুলো সুষম বণ্টনের মাধ্যমে করা। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, জমি দখল কঠোর হাতে দমন করা এবং সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেছেন, মানুষ প্রচলিত রাজনীতির বৃত্ত ভেঙে তরুণদের দিকেই তাকিয়ে আছে। মানুষের সেই আস্থা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। গণঅধিকার পরিষদ তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক শক্তি। তারুণ্যের নেতৃত্বেই ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থান হয়েছে। যখন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে নামতে দ্বিধান্বিত ছিল, তখন আমরাই সব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি।