মহালয়ার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আমেজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। দুই দিন পর আগামী রবিবারে দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠী। মণ্ডপগুলোতে চলছে শেষ সময়ে প্রস্তুতি। এ বছর দেশের ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর। দুর্গোৎসব কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রতিমা তৈরির ধুম। মৃৎশিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে দেবী প্রতিমা। খড় আর কাদা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি শেষে এখন চলছে প্রলেপ ও রঙের কাজ। এবারের দুর্গাপূজা ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হবে এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী দিয়ে শেষ হবে। গত ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি পূজা উদ্যাপিত হয় পুরান ঢাকায়। এবার ঢাকাশ্বেরী জাতীয় মন্দির, আজিমপুর সরকারি কলোনি, ঋষি পাড়া দুর্গা মন্দির, শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার এলাকার অলিগলিতে পূজার আয়োজন করা হবে। ছোট-বড় বিভিন্ন মণ্ডপে শুরু হয়েছে মঞ্চ, প্যান্ডেল, তোরণ ও প্রতিমা নির্মাণের কাজ। এ ছাড়াও স্বামীবাগে লোকনাথ মন্দির, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী পূজামণ্ডপ এবং খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘের পূজামণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে পুরোদমে। শাস্ত্রীয় মতে, এ বছর মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আসছেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাসে গমন করবেন। দেবীর আগমন হাতির পিঠে হলে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যা পৃথিবীকে শস্য-শ্যামলা ও সমৃদ্ধ করে তোলে। তবে গমন দোলায় হলে তা মহামারি বা মড়কের মতো অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। বাসুদেব ধর বলেন, সারা দেশে এ বছর দুর্গাপূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ঢাকা মহানগরীর ২৫৮টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী দুর্গাপূজা মণ্ডপের পুরোহিত বরুণ চক্রবর্তী বলেন, দেশ ও জাতির শুভ কামনায় মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।