চীনের দ্রুতগতির সামরিক আধুনিকায়ন, পঞ্চম ও ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান উৎপাদনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী নিজেদের আকাশ-শক্তি ধরে রাখার লড়াইয়ে নতুন করে জোর দিচ্ছে। তারা নেক্সট জেনারেশন এয়ার ডমিন্যান্স কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বোয়িং নির্মিত এফ-৪৭। এটি একটি নতুন প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার। বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী দশকের আকাশযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিহার্য অস্ত্র হয়ে উঠবে এই যুদ্ধবিমান।
অত্যাধুনিক এফ-২২ র্যাপটার এখনো বিশ্বের অন্যতম সক্ষম যুদ্ধবিমান হলেও এটি ১৯৯০-এর দশকের প্রযুক্তির ওপর দাঁড়ানো। মাত্র দুই শতাধিক অপারেশনাল এফ-২২ থাকার কারণে বহরের আকার ছোট এবং দীর্ঘ রেঞ্জের মিশনে এর ওপর নির্ভর করা কঠিন হয়ে উঠছে। দূর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীনা হুমকি বাড়তে থাকায় বিমানের সীমিত রেঞ্জ ও ট্যাংকারের ওপর নির্ভরতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় দুর্বলতা তৈরি করছে।
চীন ইতোমধ্যে ব্যাপক হারে জে-২০ মাইটি ড্রাগন স্টেলথ ফাইটার উৎপাদন করছে এবং পরবর্তী প্রজন্মের ত্রিভুজাকার, টেইললেস ষষ্ঠ প্রজন্মের নকশা নিয়েও পরীক্ষা চালাচ্ছে। ফলে অঞ্চলটির আকাশ-প্রাধান্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র আর আগের মতো একচ্ছত্র সুবিধা পাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরিস্থিতি পাল্টাতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান এফ-৪৭। দীর্ঘ রেঞ্জ, উন্নত স্টেলথ, নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধ সক্ষমতা এবং ক্রুয়েড-আনক্রুয়েড টিমিং সব মিলিয়ে এটি ২০৩০-এর দশকের আকাশযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে টিকে থাকার ‘টিকিট’ দিতে পারে এটি।
একজন সাবেক মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেল বলেছেন, যদি আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যায় এফ-৪৭ না পাই, পরবর্তী আকাশযুদ্ধে হেরে যাব। এটা নিছক ভবিষ্যদ্বাণী নয় বরং বাস্তবতা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল