রাষ্ট্রের সন্তান ২৬টি ক্যাডার। এর মধ্যে ২৫ সন্তানের পদোন্নতি যদি যথাসময়ে হয়, তাহলে ১ সন্তানের পদোন্নতি কেন এক যুগ আটকে থাকবে? এই বৈষম্যের জন্য কি জুলাই বিপ্লব হয়েছিল? আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা আমাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরে যেতে চাই। রাষ্ট্র আমাদের এই ন্যায্য দাবি পূরণ করুক এটাই চাওয়া।
মঙ্গলবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা (প্রভাষক) ক্যাডার পরিষদের ব্যানারে রংপুর কারমাইকেল কলেজে 'নো প্রমোশন-নো ওয়ার্ক' কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন কলেজটির মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক বুলবুল আহমেদ। তিনি বিসিএস ৩২তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার।
সকাল থেকেই প্রভাষকরা শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছে। এ কারণে সিনিয়র-জুনিয়র প্রভাষকরা ক্লাসে ফিরছেন না। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। কারমাইকেল কলেজের পাশাপাশি সারাদেশের সরকারি কলেজগুলোতেও এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আজকের মধ্যে দাবি না মানলে আগামীকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে মাউশিতে অবস্থান কর্মসূচি করা হবে বলে জানান তারা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা প্রভাষক ক্যাডার পরিষদের আহ্বায়ক ৩৩তম ব্যাচের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক আব্দুল লতিফ বলেন, সরকার ২৪'র জুলাই পরবর্তী সময়ে বৈষম্য দূর না করে জিইয়ে রাখছে। এতে আমরা ক্ষুব্ধ। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশ থেকে প্রভাষকরা ঢাকায় যাবেন এবং বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর চত্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে উঠবো না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত