কাপাসিয়া উপজেলায় ১০০ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন ১২৫ জন কৃষক। উপজেলার তরগাঁও, রায়েদ, সূর্যনারায়ণপুর ও পাবুর এলাকায় কীটনাশক ছাড়া জৈব সারে ধানের আবাদ করা হয়।
তরগাঁও গ্রামের কৃষক সাহিদা বেগম বলেন, রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে পোকা বেশি আক্রমণ করে। জৈব সার ব্যবহার করে এবার ভালো ফলন পেয়েছি। অন্য বছর বিঘাপ্রতি ১৮ মণ ধান পাওয়া যেত, এবার পেয়েছি ২২ থেকে ২৫ মণ। জৈব সার ব্যবহারে কম খরচে বেশি ধান পেয়েছি। একই গ্রামের সেচ পাম্পের ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি নিজেও গত দুই বছর জৈব সার ব্যবহার করেছি। ধানের ফলন অতীতের তুলনায় ভালো হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ পাব বলে আশা করছি। আমার সেচ প্রকল্পের অধীনে আরও ৫০ জন কৃষক জৈব সার ব্যবহার করেছেন। শ্যামল বাংলা কৃষি ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের এডিশনাল সেক্রেটারি (অব.) মাহফুজুল কাদের বলেন, ২০১৫ সালে উপজেলা শহর ও বাজারের আশপাশে যেসব বর্জ্য দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পরিবেশ দূষণ করে সেগুলো দিয়ে একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র চালু করি। প্রথমে ১০ জন কৃষককে জৈব সার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। বর্তমানে ১২৫ কৃষক শুধু জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফসল উৎপাদন করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বশাক বলেন, কাপাসিয়ায় ৪০০ বিঘার বেশি জমিতে জৈব সার ব্যবহার করেছেন কৃষক। জৈব সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের চাহিদা কমে। এমনকি টানা তিন-চার বছর জৈব সার ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে না।