জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা বাতিলের চেষ্টা করা হবে। তবে যদি আমরা এটি পুরোপুরি বাতিল করতে ব্যর্থ হই, তাহলে অন্তত করহার বৃদ্ধি করে আদর্শ করহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করব। গতকাল পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য দেশীয় রাজস্ব সংগ্রহ : বাংলাদেশের জন্য নীতি সংস্কার অগ্রাধিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) ও ইআরএফ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংবাদিক শওকত হোসেন মাসুম।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা আয়কর রিটার্ন দেন না, তাদের নোটিস দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা নোটিস দেওয়া শুরু করেছি। এখন লোকজন হয়তো বলা শুরু করবে যে, আমরা তো খুব ঝামেলায় আছি। তিনি আরও বলেন, আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করেছি, বিদ্যমান কর অব্যাহতিও কমাব, উঠিয়ে দেব এবং যারা কম হারে দেয়, তাদের বাড়িয়ে দেব। নতুন কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে রিয়েল এস্টেট খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন করহার প্রযোজ্য। জমি ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রকৃত মূল্য বিবেচনায় এ হার আদর্শ করের চেয়ে কম। আমরা করহারকে স্বাভাবিক করের হারের কাছাকাছি আনতে চাই।