ইউক্রেনের আকাশ ও সমুদ্রে এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন। গত রবিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইউক্রেন সংকট নিয়ে বৈঠকের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ তথ্য জানান। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়াতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ৩ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন ম্যাক্রোঁ।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা কিয়েভের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং একটি নতুন নিরাপত্তা জোট গঠনের উদ্যোগ নেন। এদিকে বৈঠকের কয়েক দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ভর্ৎসনা করেন। এতে ইউক্রেন ও ন্যাটোর প্রতি মার্কিন অঙ্গীকার নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপের ঐক্যবদ্ধ বার্তা : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে মিলে যুদ্ধ বন্ধের একটি পরিকল্পনা তৈরি করবে, যা পরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করা হবে।’-আরব নিউজ
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আলোচনার সময় নয়, এখন কাজের সময়। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, ইউরোপকে জরুরিভিত্তিতে সামরিক প্রস্তুতি নিতে হবে এবং ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বিরোধ, নতুন প্রশ্নের জন্ম : সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে জেলেনস্কির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান নেতারা জানান, ইউক্রেনের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মেনে নেওয়া অথবা নতুন নেতৃত্ব খোঁজা। ট্রাম্প নিজেকে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং ইউক্রেনের খনিজসম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান আগ্রহের বিষয়। এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফর সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং ট্রাম্পের নতুন অবস্থান ‘রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ -আরব নিউজ