গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তীব্র আক্রমণ, বেসামরিক মানুষের মানবিক পরিস্থিতি এবং জিম্মিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
শনিবার এক বিবৃতিতে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘অন্য সব রাষ্ট্রের মতো ইসরায়েলেরও আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পদক্ষেপের ফলে বাকি জিম্মিদের জীবন নষ্ট হতে পারে, যার মধ্যে জার্মান জিম্মিরাও অন্তর্ভুক্ত, যারা প্রায় ৬০০ দিন হামাসের কারাগারে থাকার পরও তাদের জীবন রক্ষা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন।’ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ আক্রমণ গাজার বাসিন্দাদের ‘বিপর্যয়কর’ মানবিক পরিস্থিতি এবং জিম্মিদের দুর্দশা আরও খারাপ করার ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও দূরবর্তী করে তুলেছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় নতুন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল শনিবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অঞ্চলটির অন্য অংশীদারদের সঙ্গেও জার্মানি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তোনিও তাজানি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের আর যুদ্ধের মূল্য চুকানোর সুযোগ নেই।
গাজা নিয়ে আইসিজেতে যাবে স্পেন : গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি এ ভূখণ্ডে ত্রাণ পৌঁছাতে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে মাদ্রিদ। তিনি বলেন, বিশ্বনেতাদের উচিত গাজায় এ গণহত্যা বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করা।
এখনই যুদ্ধবিরতি চায় জাতিসংঘ : ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনিসেফের মুখপাত্র রোজালিয়া বোলেন জানিয়েছেন, গাজার মানুষের জন্য খাওয়ার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই। গাজায় ত্রাণ অবরোধ চলছে ১১ সপ্তাহ ধরে। এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
-এএফপি, বিবিসি