ভারতের ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে এক দিনে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ছয়জনই নারী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তথ্যানুসারে, মৃতের তিনজন কোরাপুট, দুজন জাজপুর, দুজন গানজাম, একজন ধেনকেনাল এবং একজন গাজাপাতি জেলার বাসিন্দা। -এনডিটিভি
কোরাপুটের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার বজ্রপাতে যে তিনজন মারা গেছেন তারা একই পরিবারের সদস্য। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালেও তারা খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ব্যাপক বর্ষণ শুরু হওয়ার পর খেতের কাছে একটি খালি চালাঘরে আশ্রয় নেন। সে চালাঘরের ওপর বজ্রপাত হয় এবং তিন নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁরা হলেন ব্রুধি মানডিঙ্গা (৬০), তার নাতনি কাসা মানডিঙ্গা (১৮) এবং অম্বিকা কাশী (৩৫)। আর গুরুতর আহত হয়েছেন ব্রুধি মানডিঙ্গার স্বামী হিঙ্গু মানডিঙ্গা (৬৫)। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাজপুরে যে দুজন মারা গেছেন তারা উভয়েই কিশোরবয়সি হেমব্রম (১৫) এবং টুকুলু ছাত্তার (১২)। জাজপুর পুলিশসূত্রে জানা গেছে, এ দুজনের বাড়ি বুরুসাহি গ্রামে এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে নিজ বাড়িতে অবস্থানের সময়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ দুজন নিজেদের কাঁচা বাড়ির বারান্দায় বসে ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত ঘটে সে বাড়ির ওপর এবং দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যায়। গানজামের বারিদা ও বেলাগুণ্ঠা গ্রামে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে মারা গেছে এক কিশোর (১৩) এবং এক তরুণী (২৩)। বারিদা গ্রামে মৃত কিশোর ওম প্রকাশ প্রধান সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) ওড়িশার সাত জেলায় বজ্রপাত ও মৌসুমি ঝড়সংক্রান্ত লাল সতর্ক সংকেত জারি করেছে। জেলাগুলো হলো কোরাপুট, কুট্টাক, খুর্দা, নয়াগড়, জাজপুর, বালাসোর ও গানজাম। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতে বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার। দেশটির অলাভজনক সংস্থা ক্লাইমেট রিসাইলেন্ট অবসার্ভিং সিস্টেমস প্রমোশন কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চে ভারতে বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর হার বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।