ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির পরবর্তী পর্যায়ের জন্য মিসরের কায়রোয় বসা আলোচনারও কোনো অগ্রগতি জানা যায়নি। গতকাল প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। শুক্রবার মিসরের কায়রোয় গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর বৃহস্পতিবার বলেছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে ‘নিবিড়’ আলোচনায় অংশ নিতে ইসরায়েল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল কায়রোয় অবস্থান করছে।
কয়েক মাসের আলোচনার পরই কেবল প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর সম্ভব হয়েছিল। তবে প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হলেও কায়রো থেকে আলোচনার কোনো অগ্রগতি ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইসরায়েল-হামাস চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার জন্য আগামী দিনগুলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের গুতেরেস বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিমুক্তি চুক্তি অবশ্যই বহাল থাকবে। আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তির ভাঙন এড়াতে উভয় পক্ষকে প্রচেষ্টা ছাড়া যাবে না।’
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য চলতি সপ্তাহেই মধ্যাঞ্চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, হত্যা ও বিদ্বেষমূলক অপরাধের দায়ে এক মার্কিন ব্যক্তিকে শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করেছেন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের আদালত। ওই ব্যক্তি ২০২৩ সালের অক্টোবরে ছয় বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং তার মাকে মারাত্মক আহত করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ৭৩ বছর বয়সি জোসেফ জুবা এ হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদে র মুখোমুখি হতে পারেন। প্রসিকিউটরদের দাবি, এ হত্যার পেছনে মুসলিমবিদ্বেষ কাজ করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর কিছুদিন পরই ওই হত্যাকা হয়। নিহত শিশু ওয়াদিই আলফায়োউমি এবং আহত হানান শাহিনের ঘটনা ছিল হামাসের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া হিংসাত্মক ঘটনার প্রথম দিককার এবং নৃশংসতম উদাহরণ। -আলজাজিরা