মধ্য-আমেরিকার কয়েকটি দেশের কিছু সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য ও কিউবার শ্রমিকদের শোষণ করার অভিযোগে কিউবান মেডিকেল মিশন কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মধ্য-আমেরিকান কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এমনকি তারা কোন কোন দেশের কর্মকর্তা সেই বিষয়েও কিছু জানাননি তিনি।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যেসব কর্মকর্তারা শোষণমূলক কার্যক্রম সমর্থন ও দীর্ঘস্থায়ী করেন, তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “কিউবার শ্রমিক রফতানি কর্মসূচি অংশগ্রহণকারীদের অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত কিউবান সরকারকে সমৃদ্ধ এবং প্রত্যেকদিন কিউবানদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে। যদিও এই চিকিৎসা সেবা তাদের জন্মভূমিতে অত্যন্ত প্রয়োজন।”
তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনও সাড়া দেয়নি। দশকের পর দশক ধরে এই ধরনের শ্রম শোষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে হাভানা।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে কিউবার কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ভিসা বিধিনিষেধ নীতি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, কিউবার শ্রমিকদের, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিদেশে পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি কর্মসূচি পরিচালনা করেন, এমন কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিদেশে প্রেরণের মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে কিউবার স্বাস্থ্যসেবা খাত।
১৯৫৯ সালের বামপন্থী বিপ্লবের পর থেকে কিউবা সংহতির নামে বিশ্বজুড়ে দুর্যোগ কবলিত স্থান ও রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, এমন এলাকায় ‘সাদা কোটের সেনাবাহিনী’ নামে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের পাঠায় দেশটি। গত দশকে হাইতিতে কলেরা এবং পশ্চিম আফ্রিকায় বিভিন্ন দেশের ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াই করে কিউবার স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ