১৮৯২ সালে গোয়ালন্দ মডেল হাইস্কুল নামের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি আজকের রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়। বাণীবহের তৎকালীন জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও অভয়শংকর মজুমদার লাল ভবনটি কাচারিঘর হিসেবে ব্যবহার করতেন। পরে ওই ভবনটি বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯২ সাল থেকে ভবনটি স্মৃতির ক্যাম্পাস হয়ে আছে। ক্যাম্পাসের সেই স্মৃতি, ফেলে আসা দিনগুলো সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিতে এখনো অম্লান। বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বেড়ে ওঠা অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। ২০১৩ ও ২০১৯ সালে দুই দফায় ভবনটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুবারই বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের বাধায় ভবনটি ভাঙা হয়নি। ২০১৩ সালে ভবনটি পরিদর্শন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা জানান, রাজবাড়ীর এই লাল ভবনটি অসাধারণ স্থাপনা। এর সঙ্গে ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। এ ধরনের স্থাপনা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষণ করে থাকে। পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আর সংরক্ষণের কাজ এগোয়নি। ২০১৯ সালে লাল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তখন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়। সম্প্রতি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান প্রবেশ পথের বামপাশে দাঁড়িয়ে আছে লাল ভবন। বকুল গাছ যেন জড়িয়ে রেখেছে লাল ভবনকে। ক্যাম্পাসে সবুজ বৃক্ষের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে লাল ভবনটি। ভবনের বেশির ভাগ ইটের মধ্যে ছোট ছোট গাছ জন্মেছে। ইংরেজিতে রাজবাড়ী লেখা শব্দগুলোর মধ্যে দুটি শব্দ হারিয়ে গেছে। ছাদে যাওয়ার সিঁড়িটিও নষ্ট হয়ে গেছে। লোহার পাতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভবনের ছাদ। কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী আসছেন প্রিয় ক্যাম্পাসে। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্মৃতির ক্যাম্পাসে অনেক স্থাপনা ভেঙে আধুনিকায়ন করা হবে। স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে বিদ্যালয়ের সবুজ ঘাসের ওপর দিয়ে হেঁটে ক্লাসরুমে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ও শিক্ষকদের শাসন। কিন্তু রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের লাল ভবনটি শত বছর থেকে সহস্র বছর স্মৃতির ক্যাম্পাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারত। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভবনটি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমান আবুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী আহসানুল করিম বলেন, ‘এক যুগ থেকে বিদ্যালয়ের শত বছরের ভবনটি সংরক্ষণের জন্য আন্দোলন করা হয়। দুই দফায় ভবন ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। ভবনটি ভেঙে ফেলতে দেওয়া হবে না। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ভবনটি সংস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘শত বছর পুরোনো ভবনটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনটির সঙ্গে বহু শিক্ষার্থীর স্মৃতি জড়িত। তারা এটি সংরক্ষণের দাবি করেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। যদি সংস্কার করে সংরক্ষণ করা যায় সেটির দিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
শিরোনাম
- শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিক্ষোভ সমাবেশ
- চীনের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ পেলেন শাবির অধ্যাপক ইফতেখার
- মাদারীপুরে জাহানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে মিছিল
- ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনঃপ্রকাশ
- লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়নে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে আসবে গতি : প্রেস সচিব
- নতুন রূপে ফিরছে ‘প্রিডেটর’, এবার দেখা যাবে বাংলাদেশেও
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪
- গাকৃবিতে ‘গমের ব্লাস্ট রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা যাচাই’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- প্রতিদ্বন্দ্বীর মায়ের দোয়া নিয়ে গণসংযোগ শুরু করলেন বিএনপি প্রার্থী আনিসুল
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা
- কিউ-এস র্যাংঙ্কিং: এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিইউবিটি
- এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
- স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অপসোনিনের ছাঁটাই শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
- মাগুরায় দুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ
- অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
- বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলা’ অনুষ্ঠিত
- জাল নোট প্রতিরোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার
- প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪
- চকবাজারে র্যাবের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও জরিমানা
রাজবাড়ীর লাল ভবনে স্মৃতির ক্যাম্পাস
শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী লাল ভবনটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু শিক্ষার্থীর স্মৃতি, সংরক্ষণের দাবি
দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর