জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০০ আসনেই নির্বাচনের লক্ষ্য আমাদের। তবে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন সেটা খালেদা জিয়ার কথা আমাদের নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ওনাদের সম্মানে আমরা হয়তো সেসব জায়গায় (আসনে) প্রার্থী দেব না।
এ ছাড়া সর্বাধিক আসনেই শাপলা কলির জন্য আমরা প্রার্থী দেব। আমরা চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমাদের প্রার্থীদের প্রাথমিক একটি তালিকা প্রকাশ করব। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে শহীদ জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জুলাই যোদ্ধা গাজী সালাউদ্দিনের কবরও জিয়ারত করেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু প্রমুখ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গাজী সালাউদ্দিন ভাই আমাদের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তিনি আন্দোলনের সময় আহত হন, তার গলায় একটি স্পিøন্টার ছিল, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তিনি এতগুলো দিন বেঁচে ছিলেন।
গত ২৬ অক্টোবর তিনি মারা যান। এরকম জুলাই যোদ্ধারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছেন যারা আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, দেহে এখনো স্পিøন্টার বহন করছেন। তারা আজও চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে। এই পরিবারগুলোর আত্মত্যাগের কারণেই তো আমরা গণ অভ্যুত্থানে সফল হয়েছিলাম। আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করতে পেরেছিলাম এবং বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এরকম হাজারো জুলাই গণ অভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধারা এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন।
অনেকেই আজও সুচিকিৎসার অভাবে ভুগছেন। এই আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের ছিল। কিন্তু তারা তা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি।
ফলে আমাদের লাশের সারি বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, শহীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যারা এখনো আহত অবস্থায় আছেন, যাদের শরীরে স্পিøন্টার রয়েছে, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।