রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’র ১৯তম আসর। এবারের আসরে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ এক্সপোর আজ শেষ দিন। এতে ডেনিম ও নন-ডেনিম, গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি, প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে।
এক্সপোর পাশাপাশি ‘ডেনিম রাইজিং : বাংলাদেশ’স জার্নি টু গ্লোবাল লিডারশিপ’ ও ‘টেকনিক্যাল সাপ্লাই চেইন ইস্যুজ’ শীর্ষক দুটি প্যানেল আলোচনা ও একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনের এক্সপোতে ডেনিম উৎপাদনের সর্বশেষ উদ্ভাবন, টেকসই প্রযুক্তি এবং বৈচিত্র্যময় পণ্যের প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও বৈশ্বিক ডেনিম বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরা হচ্ছে। এ প্রদর্শনীতে বিশ্বব্যাপী ডেনিম শিল্পের নেতা, উদ্ভাবক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন একত্র হচ্ছেন ডেনিম উৎপাদন, টেকসই এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনশীল দিক নিয়ে আলোচনার জন্য। এ আয়োজনে তিনটি প্যানেল আলোচনা এবং দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের মূল দিকগুলো এবং বৈশ্বিক পরিসরে এর ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব তুলে ধরছে। প্রদর্শনী প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এক্সপোকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছি, যেখানে টেকসই, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন এবং বৈশ্বিক শিল্পের পরিবর্তনশীল রূপ একসঙ্গে প্রতিফলিত হয়। ডেনিম শিল্পের সর্বশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে এক্সপো আরও কার্যকর ও সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’
প্রদর্শনীর প্রথম দিন গতকাল কথা হয় গুয়াংজু এইচ এন এইচ টেক্সটাইলের কান্টি ম্যানেজার মো. সাইদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গুয়াংজু এইচ এন এইচ টেক্সটাইল সব ধরনের ডেনিম নিয়ে কাজ করছে। চীনের গুয়াজুতে এর কারখানা অবস্থিত। বর্তমানে টেক্সটাইল খাতে সাসটেইনেবল প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এইচ এন এইচ টেক্সটাইল তাদের সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে অ্যান্টিমাইট প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ফ্যাব্রিক তৈরি হওয়ার পর ডেলিভারির আগে মেশিনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেওয়া হয়।’ আর এসএবি কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার গ্যারি ওয়াঙ্গ বলেন, ‘ডেনিম পোশাকশিল্পের সব ধরনের অ্যাকসেসরিজ তৈরি করে এসএবি। কোম্পানির ফ্যাক্টরি বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং চীনে অবস্থিত। এসএবি কোম্পানি জিপার, বাটন, মেটাল ব্যাজ, ওভেন লেভেল, ওয়েভিং ইলাস্টিকসহ বিভিন্ন অ্যাকসেসরিজ তৈরি করে থাকে।’ সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।