পশ্চিমা উদ্যোগে একদিকে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা ও দরকষাকষি চললেও, আরেকদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ওপর টানা বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এই হামলায় গতকাল আরও ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি।
গতকাল ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে কায়রোয় শার্ম এল-শেইখে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিরা পরোক্ষভাবে আলোচনা শুরু করেছেন। এবিষয়ে হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চলমান আলোচনা শেষ হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলছি, ঠিক সেই সময় তারা আলোচনা করছে। দরকষাকষি চলছে। এতে কয়েক দিন সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। এর পরিণতি কী হবে- তা আমরা দেখব।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করলেই তাৎক্ষণিক মানবিক পরিস্থিতি সাময়িকভাবে লাঘব পাবে। কিন্তু হামাসের নিরস্ত্রীকরণ, গাজায় অস্থায়ী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য আরও জটিল ও সময়সাপেক্ষ আলোচনা প্রয়োজন।
গাজায় বোমা বর্ষণ, নিহত ৬৩ : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এরপর জানানো হয়, এতে নিহত হয়েছেন ৬৩ জন। খবরে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজার প্রধান শহর গাজা সিটি ও অন্যান্য এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল।
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলেরর সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়া’আল জামির জানিয়েছেন, কায়রোর বৈঠক যদি ব্যর্থ হয়- তাহলে ফের পূর্ণমাত্রায় গাজায় অভিযান শুরু করবে আইডিএফ।
গ্রেটাসহ ১৬৫ অভিযাত্রীকে গ্রিসে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল : সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৫৬ জন অভিযাত্রীকে গ্রিসে ফেরত পাঠাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের টেলিভিশন সংবাদমাধ্যম আই ২৪ নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফ্লোটিলা অভিযানে গ্রিসের যতজন নাগরিক ছিলেন, তাদের এবং গ্রেটাসহ ১৬৫ জন অভিযাত্রীকে একটি বিশেষ বিমানে গ্রিসে পাঠানো হচ্ছে।
আরেক খবর অনুযায়ী, আটক অবস্থায় ইসরায়েলে সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়েছিল গ্রেটাকে। কর্মকর্তাদের তিনি জানিয়েছেন যে, তাকে ছারপোকায় পরিপূর্ণ একটি কারকক্ষে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি দেওয়া হচ্ছে না।