ঢাকার পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় আটক মোক্তার হোসেন (৪০) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে মারা গেছেন। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা তদন্তে পুলিশের তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনের তথ্যের ভিত্তিতে মোক্তার হোসেনকে ধরা হয়েছিল। আটকের সময় স্থানীয় জনতা তাঁকে কিলঘুসি মেরে আহত করে। পরে রাতে অসুস্থ বোধ করার তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে আবারও ডিবিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনা তদন্তে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন এবং কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপপরিদর্শক জুয়েল সর্দারসহ একদল পুলিশ মোক্তারকে অচেতন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মিরপুরে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পাঁচজন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।