ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ও ঘারুয়া ইউনিয়নের পৃথক দুটি স্থানে আধিপত্যের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ১০ এর অধিক বাড়ি ও একটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। মানিকদহ ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে শনিবার সকালে ও ঘারুয়া ইউনিয়নের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন মানিকদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে এম শহীদুল্লাহ্ বাচ্চু ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন মানিকদহ ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে মানিকদহ ইউনিয়নের রামদেবপুর, লক্ষ্মীপুর, আদমপুর গ্রামের দুই পক্ষের শত শত লোক ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ব্যাপি এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ এর অধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও রামদেবপুর গ্রামের মোতালেব মাতুব্বর (৭০) এর মুদি ও সারের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহত একজনকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মানিকদহ ইউনিয়নের দফাদার (গ্রাম পুলিশের প্রধান) আব্দুল আলীম বলেন, দুই পক্ষের উত্তেজনা আগে থেকেই ছিলো। শনিবার ( ২২ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে মানিকদহ ইউনিয়নের তিন গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মানিকদহ ইউনিয়নের সংঘর্ষের বিষয়ে ভাঙ্গা থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।
অপরদিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। এরমধ্যে ১০ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাজরাকান্দা গ্রামে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য জুলহাস মাতুব্বর ও অপরপক্ষে নেতৃত্ব দেন জব্বার মিয়া(মাস্টার)।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, গত দুই দিনে ভাঙ্গায় দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই জায়গায়ই আধিপত্যের বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । মানিকদহ ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঘারুয়া ইউনিয়নেও জুলহাস মাতুব্বর ও জব্বার মাস্টারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুটি ঘটনায় কেউ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএম