বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় বাড়লেও দাম কমছে না। প্রতিটি সবজি ৬০ টাকা থেকে ১০০টাকার কমে মিলছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম বেশি। সম্প্রতি টানা বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। গতকাল বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, খান্দার বাজার, কলোনী বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। নতুন এসব সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০টাকা, নতুন পাতা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচমরিচ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ঝিংগা ৮০টাকা, শশা, করলা ও গাজর ১০০টাকা, টমেটো ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু মানভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা, নতুন আলুর কেজি ২৪০ থেকে ২৫০টাকা, পটল, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থকে ৬০টাকা, মূলা ৪০টাকা, দেশি আদা ১৬০টাকা, দেশি রসুন ১৪০টাকা, এবং শুকনা মরিচ ৩০০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় সবজির দাম চড়া।
এদিকে শহরের ফতেহ আলী বাজারে ডিমের হালি ৪২টাকা, দেশি মুরগির কেজি ৫২০, ব্রয়লার ১৬০টাকা এবং ককরেল মুরগি ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
রাজাবাজারে বাজার করতে আসা শহরের সূত্রাপুর এলাকার আমজাদ হোসেন জানান, ৬০ থেকে ১০০টাকার কমে সবজি মিলছে না। বাজারে শীতকালীন সবজি উঠলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এই সময়ে সবজির দাম এমন চড়া হওয়ায় দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ ।