বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের বিনিয়োগকারীরাও এখন নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায়। দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অভাবেই প্রশাসনের কার্যকারিতা কমে গেছে। সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ এখন কাজ করছে না। বিদেশি বিনিয়োগও থমকে আছে। কারণ, দেশে দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক কোনো সরকার নেই। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করলেই জনগণের মালিকানা ফিরবে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উত্তাল জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে পুলিশের গুলিবিদ্ধ ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ রাজনীতিবিদ, ছাত্র-জনতার অবদান এবং আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনার সভা আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।
জুলাই আন্দোলন নিয়ে আমীর খসরু বলেন, এই আন্দোলন নতুন কিছু নয়, বরং এটি বাংলাদেশের মানুষের রক্তে মিশে আছে। আমরা শেখ হাসিনার পতন না ঘটিয়ে বাড়ি ফিরতাম না। ৫ আগস্টের মধ্যে তার পদত্যাগ না হলে আন্দোলন চলতেই থাকত। সংলাপ ও আন্দোলন নিয়ে বিভাজন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের ভিতরে নানান মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে কেউ এটিকে হাইজ্যাক করতে পারবে না। আমরা আন্দোলনের কৃতিত্বও এককভাবে দাবি করিনি, যদিও বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এই লড়াই মূলত জনগণের মালিকানা ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম। একটি দায়িত্বশীল প্রশাসন এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য। উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতাও তাই বলে। যেসব দেশে বিপ্লবের পর দ্রুত নির্বাচিত সরকার এসেছে, সেখানে উন্নয়ন হয়েছে; আর যেসব দেশে তা বিলম্বিত হয়েছে, তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিভেদ প্রসঙ্গে খসরু বলেন, বিভেদ না থাকলে রাজনীতি চলে না। আমরা বাকশাল গঠনের মতো মনোভাব নিয়ে আসিনি। শেখ হাসিনার পতনের পর জনগণের চিন্তাভাবনায় যে পরিবর্তন এসেছে, সেটিকে মাথায় রেখেই ভবিষ্যতের রাজনীতি পরিচালিত হওয়া উচিত। যাদের নির্বাচন নিয়ে ভয় আছে, তাদের উচিত অংশ না নেওয়া। তবে রাজনৈতিকভাবে জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।