রাজধানীর উত্তরা এলাকার ফ্লাই জোনে গড়ে তোলা হয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি গঠনের ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)। সঠিক নিয়মে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলে হয়তো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন করুণ পরিণতির শিকার হতো না বলে মনে করে সংগঠনটি।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির নিজস্ব কার্যালয় প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা : জননিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের দায় এবং করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিআইপি। সংগঠনের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, ড. মো. শফিক-উর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অগ্নি) পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম এবং বোর্ড সদস্য পরিকল্পনাবিদ মো. ফাহিম আবেদীন। আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ভবনসহ মাইলস্টোন স্কুলের একাধিক ভবন রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। যে ভবনে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি সরাসরি ফ্লাই জোনের আওতাধীন। এ ছাড়া ভবনটিতে জরুরি বের হওয়ার বিকল্প সিঁড়িও ছিল না। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ফ্লাই জোনের অ্যাপ্রোচ লাইনের মধ্যে থাকা সব ভবন অপসারণ করার পরামর্শ দেন তিনি। আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, শুধু মাইলস্টোন নয়, ঢাকার বেশির ভাগ স্কুলেই কোনো সিঁড়ি নেই বা অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার উপযোগী ব্যবস্থা নেই। এটি সাধারণ একটি অগ্নিকাণ্ড হলেও এত প্রাণহানি হতে পারতো। প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় শহরে বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি।