জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। এ অনন্যা দীর্ঘদিনের বিরতির পর আবার শোবিজে ফিরেছেন। ব্যস্ত রয়েছেন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্র নিয়ে। এ তারকার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
জ্বীন-থ্রিতে অভিনয় করেছেন...
হুমম। তবে চরিত্রের মধ্যে একটু ভিন্নতা রয়েছে। সেটা দর্শক হলে গিয়ে বুঝতে পারবেন।
পর্দায় আপনার উপস্থিতি আগের চেয়ে কম কেন?
পর্দায় উপস্থিতি কমে গেলেও থেমে যাবে না। ওটিটি তো বটেই, বিভিন্ন সিনেমা এবং অনুষ্ঠানেও নিয়মিত আমাকে পাবেন দর্শকরা।
চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন। নির্মাণে আর দেখছি না কেন?
আমাকে সবাই এ কথাটা জিজ্ঞেস করে। আগেও আমি যখন কোনো মুভি দেখতে গেছি অনেকে বলেছেন, তানিয়া আপা আপনার মেকিং সেন্স তো অনেক ভালো। এত সুন্দর করে বানিয়েছেন। কেন এতদিনের গ্যাপ? আসলে আমি যেটা মনে করি, একটু শিখে নিয়ে করতে চাই। আমি জানি করলে পারব, তবে এখন যারা কাজ করছেন ‘দে আর রিয়েলি গুড’। তবে আমার ইচ্ছা রয়েছে ইন্টারেস্টিং কিছু করার। সারা জীবনের ইচ্ছা ভালো কিছু করব।
আর ওটিটির কাজ?
ওটিটির কাজ অল্প কিছু করেছি। তবে কেউ হয়তো এখনো যোগ্য মনে করেনি তাই ডাকেনি। না হলে তো অবশ্যই করা হতো।
ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে প্রত্যাশা কী?
ভালোই মনে হয়। প্রত্যাশা তো অনেক রয়েছে। এই যে ভালো ভালো অনেক মুভি হচ্ছে। দেশের সংস্কৃতি যেন আরও ভালো এগোয়। যেন ওয়ার্ল্ডজুড়ে আমাদের সিনেমা মুক্তি পায়। ওরকম দিনের প্রত্যাশা।
‘আজকের অনন্যা’ উপস্থাপনা...
এটা আমি ১৩-১৪ বছর ধরে উপস্থাপনা করছি। মাঝখানে কিছুদিন গ্যাপ ছিল। কিন্তু আবার এখন নতুন করে করছি। প্রতি চার মাস পর পর আমাদের রেকর্ডিংটা হয়। তো চেষ্টা করছি এটিতে ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার।
ফিরে যাই ১৯৯১ সালে, যে সময় মোহনীয় হাসির গ্ল্যামার মডেল-অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল...
একদিন আফজাল ভাইয়ের অফিস থেকে ফোন করা হলো। ওপাশ থেকে একজন বলল, ‘আমরা চাই একটি বিজ্ঞাপনের জন্য আপনি মডেল হন।’ এরপর অনেক উৎসাহ নিয়ে ওখানে গেলাম। কথা বলার সময় যখন তারা যে প্রোডাক্টের নাম বলল, আমি শুনে খুবই অবাক হয়েছি। কারণ সারা জীবনই আমার চুল খুব ছোট। প্রোডাক্টটা ছিল নারকেল তেলের। তখন তো এদেশে তথাকথিত একটা ব্যাপার ছিল যে, খুবই লম্বা চুল হতে হবে। হাঁটু পার হয়ে যেতে হবে চুল। কিন্তু আমার চুল তো শর্ট! কেন আফজাল ভাই আমাকে পছন্দ করলেন বুঝ আসছিল না। আফজাল ভাই তখন অভয় দিয়ে বললেন, ‘আপনি কোনো টেনশন করবেন না। এটা আমরা ম্যানেজ করব।’ বিভিন্নভাবে সেটিং করে এটা-ওটা দিয়ে করা হয়েছিল। এটা আমি বলতে খুবই প্রাউড ফিল করি যে, জীবনে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি এবং প্রথম টেকই ওকে হয়েছিল। এটা কিন্তু খুবই ডিফিকাল্ট। কিন্তু প্রথম টেকেই ওকে হয়েছিল আমার সুন্দর হাসি দিয়েই...(মুচকি হাসি)। কারণ আমার হাসিটা অনেক সুন্দর!