গণ অভ্যুত্থানের বছর পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সেজন্যই নানা ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রায় অপরাধ চলছেই। চুরি-ডাকাতি-দুস্যতা, ছিনতাই-অপহরণ, মব জাস্টিসে প্রাণহানি লেগেই আছে। গণমাধ্যমে এসবের সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে প্রতিদিন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপা এক খবরে ট্রেনে ছিনতাইকারীদের ভয়ংকর দৌরাত্ম্যের কয়েকটি ঘটনা উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অন্যমনস্ক বা টার্গেট করা যাত্রীর মোবাইল ফোন-মানিব্যাগ ইত্যাদি ছিনিয়ে নিয়ে, কাউকে বা চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিচ্ছে। তাতে কেউ মারা যাচ্ছে, কেউ মারাত্মক আহত-পঙ্গু হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের ট্রেনগুলোতে এদের তৎপরতা ভীতি ও উদ্বেগজনক। খোদ রেলপুলিশের এক কর্তা বলেছেন, ট্রেনকেন্দ্রিক ছিনতাই প্রতিরোধ অভিযান তাদের চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু চক্রটি সংগঠিত ও বেপরোয়া। এরা চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ উঠে অপরাধ ঘটিয়ে দ্রুতই পালিয়ে যায়। ফলে ধরা কঠিন হয়। স্টেশন এবং ট্রেনে পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদাপোশাকের পুলিশ থাকলেও ছদ্মবেশী দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা যায় না। ছিনতাইকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় হাজার চিৎকারেও কেউ এগিয়ে আসে না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থেই সবাই দূরে থাকে। যদিও মোবাইল ফোনে ভিডিও করার লোকের অভাব হয় না। ভুক্তভোগীদের অভিমত, কোনো গন্তব্যে, দিনে-রাতে, ট্রেন ছাড়ার আগেই সব দরজা বন্ধ করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। একইভাবে স্টেশনে ট্রেন পরিপূর্ণভাবে থামার আগে কোনো দরজা খোলা যাবে না। ছাদে ভ্রমণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে এ প্রবণতা শূন্যে নামানোর বিকল্প নেই। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ও রেলপুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে তা প্রয়োগেও শক্ত হতে হবে। প্রতি কামরায় ট্রেনের পরিচালক বা চালকের মোবাইল ফোন নম্বর টাঙিয়ে দেওয়া যায়, যাতে প্রয়োজনে যাত্রীরা তাদের সহায়তা নিতে পারে। একই সঙ্গে যাত্রীসাধারণের ব্যক্তিগত সতর্কতা খুব জরুরি। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, খোলা জানালার পাশে মোবাইল ফোনে কথা বলা যে বিপজ্জনক- এটা জানা ও মানা সবার অবশ্যকর্তব্য। ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব ব্যক্তিরই। সবার সতর্কতা ও সম্মিলিত স্বার্থরক্ষার চেষ্টা এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ট্রেনে অপরাধ বন্ধ এবং জনগণের যাত্রা নিরাপদ হোক।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে