নেত্রকোনার পূর্বধলায় বেবি আক্তার (১৯) নামে এক পোশাক শ্রমিক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বেবি আক্তার ওই গ্রামের সিরাজ আলীর মেয়ে। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেবি ঈদুল আজহার পর কাজ ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সকালে ভাগনিকে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন।
কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অসুস্থ বোধের কথা জানিয়ে ঘরের ভেতরে চলে যান। এরপর দরজা বন্ধ করে দিলে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা পাশের টিনের বেড়া কেটে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখেন বাঁশের আড়ার সঙ্গে তিনি ফাঁসি নিয়ে ঝুলছিলেন।
স্বজনদের দাবি, বেবি আক্তার সম্প্রতি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং খুব একটা কারো সঙ্গে মিশতেন না।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে দেখে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই তরুণী ঝুলছিল। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
পরিবার ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তিন বছর আগে বেবি আক্তার বিয়ে করে ঢাকায় চলে যান। বিচ্ছেদের পর তিনি পোশাক শ্রমিকের চাকরি নেন। এরপর আরেকটি বিয়ে হলে সেটিও ভেঙে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করা হবে। থানায় আপাতত একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ