নারী খামারিদের সক্ষমতা ও অংশগ্রহণ বাড়াতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদিপশু পালনে যেসব নারী সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন, তাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তার আওতায় আনতে পৃথক প্রকল্প নেওয়া হবে।
শুক্রবার সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউসে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, “নারীদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ও উৎসাহিত করতে হলে লক্ষ্যভিত্তিক প্রকল্প দরকার। গবাদিপশু পালনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও এখনও তারা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছেন।"
তিনি জানান, আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি পশুর হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বসানো হবে। এসব ক্লিনিকে ভেটেরিনারি সার্জনরা উপস্থিত থেকে গরু-ছাগলের চিকিৎসা সেবা দেবেন।
মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, "গরু-ছাগলের পেছনে যেসব মানুষ থাকেন, তাদের নিরাপদ আসা-যাওয়ার ব্যবস্থাও আমরা করছি।"
সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, “কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাইরের গরু দেশে ঢোকাতে চাইবে, যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিজিবি ও নৌপুলিশকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বিদ্যুৎ বিল প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, “প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ দুঃখজনক। কৃষিতে যেমন হারে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হয়, এখানেও সেই হার প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এতে ছোট খামারিরা বাঁচবে।” তিনি জানান, এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)'র মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতোয়ার রহমান এবং প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক