পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “পাহাড়ি ফল মেলা শুধু বাণিজ্য নয়—এটি একটি আত্মিক সংযোগের মঞ্চ, যা পাহাড়ি জীবনের রঙ, ঘ্রাণ ও ঐতিহ্যকে নগরজীবনের সঙ্গে যুক্ত করেছে।”
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি অর্গানিক ফল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সভাপতি মো. আব্দুল খালেক।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত। অর্গানিক ফল তাদের জীবনধারার অংশ। এই মেলার মাধ্যমে আমরা সেই প্রাকৃতিক জীবন ও খাদ্য-সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বে চলমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। পাহাড়ি নারীরা অর্গানিক ফল চাষে নিষ্ঠা ও শ্রম দিয়ে যেভাবে ভূমিকা রাখছেন, তা অনুকরণীয়।”
এসময় তিনি ঘোষণা দেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক সংযোগের মাধ্যমে ই-লার্নিং চালু করা হবে। তার ভাষায়, “এটি শিক্ষায় একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আনবে, যা প্রযুক্তি, ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়নকে একসূত্রে গাঁথবে।”
মেলায় অংশ নেওয়া কৃষক ও উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এই আয়োজন কেবল ভোক্তা ও উৎপাদকের সংযোগ নয়, বরং এটি শিক্ষা, পরিবেশ ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন।”
আয়োজক পক্ষ জানায়, “মেলার প্রতিটি স্টল যেন ছিল একটি গল্পের জানালা—যেখানে ফলের স্বাদ ছাপিয়ে উঠে এসেছে পাহাড়ি জীবনের রঙ, ঘ্রাণ ও আত্মার ছোঁয়া।”
সমাপনী দিনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিল্পীদের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি সংগীত ও নৃত্য দর্শনার্থীদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উদ্বাস্তু পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌসসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক