উত্তাল বঙ্গোপসাগরে বিশাল ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকায় মাছ ধরার শত শত ট্রলার শনিবার ভোর থেকে বাগেরহাটের সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, সুপতি, দুবলা ও মোংলা, শরণখোলা, রাজৈর উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অবস্থায় মোংলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, “বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছে। যেহেতু ১ জুন থেকে সুন্দরবনে পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, তাই ট্রলারগুলোর ওপর বন বিভাগের নজরদারি রয়েছে। কেউ আশ্রয় নেওয়ার সুযোগে মাছ শিকার করলে, তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হবে।”
এদিকে টানা ভারি বৃষ্টিতে মোংলা বন্দরে সাতটি জাহাজে পণ্য ওঠানামা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক