১২টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক হার নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ওই দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন কোন পণ্যে কত শতাংশ শুল্ক বসবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। আগামী সোমবার (৭ জুলাই) এই ১২টি দেশ সম্পর্কে জানা যাবে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) নিউ জার্সি ভ্রমণের সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমি কিছু চিঠি স্বাক্ষর করেছি, সেগুলো সোমবার পাঠানো হবে-সম্ভবত ১২টি। কোন কোন দেশে চিঠি পাঠানো হবে, সেটিও একই দিন প্রকাশ করা হবে বলে জানান ট্রাম্প।
গত এপ্রিলে ট্রাম্প প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর পারস্পরিক আমদানি শুল্ক আরোপ করেন। এ শুল্কের হার ১০ থেকে ৭০ শতাংশ আরোপ করেন। এরপর কিছু নির্দিষ্ট দেশের জন্য এই হার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তবে কিছুদিনের মধ্যে তিনি বাণিজ্য আলাচনা চালিয়ে যেতে সেই সিদ্ধান্ত ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন।
এরপর থেকে বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে তারা এই উচ্চ শুল্ক থেকে বাঁচতে পারে। এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং ওয়াশিংটন ও বেইজিং পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ সাময়িকভাবে কমাতে সম্মত হয়েছে।
৯ জুলাইয়ের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, তিনি বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে শুল্কের হারে জানিয়ে দেবেন।
ট্রাম্প বলেন, আলাদাভাবে আলোচনায় বসার চেয়ে চিঠি পাঠানো অনেক সহজ।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমরা যা করেছি, তা দুই পক্ষের জন্যই ভালো। একইভাবে চীনের সঙ্গেও যে আলোচনা হয়েছে, সেটাও ভালো হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তবে ট্রাম্প এটিও বলেন, চিঠিতে বলা সহজ-‘দেখুন, আমাদের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, কিংবা কখনও উদ্বৃত্ত-তবে খুব বেশি নয়। আর আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনাকে এই পরিমাণ শুল্ক দিতে হবে’।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত