সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩২ রানের মাথায় ৬ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কান শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছে টাইগাররা। টাইগার স্পিনার তানভীর ইসলাম একাই নিয়েছেন চারটি উইকেট।
কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দেয়া ২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লঙ্কানরা। দলীয় ৬ রানের মাথায় ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কার উইকেট খোয়ানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৬৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুশকা। এই জুটি ভেঙে দুই ব্যাটারকেই সাজঘরের পথ চিনিয়েছেন স্পিনার তানভীর। এরপর লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার উইকেট শিকার করেছেন খণ্ডকালীন বোলার শামীম পাটোয়ারী। এরপর কামিন্দু মেন্ডিস ও দুনিথ ভেল্লালাগেকে সাজঘরের পথ ধরান তানভীর। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৪ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় সংগ্রহ ১০ স্পর্শ করতেই বিদায় নেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৭)। তবে এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইমন ফিফটি তুলে নিলেও ১৯ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন শান্ত।
এরপর তাওহিদ হৃদয় ও ইমন মিলে আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। এটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। কারণ ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৬৭ রানে। পাঁচে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও পারেননি টিকে থাকতে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ১০ বলে করেছেন ৯ রান।
বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন শামিম ও হৃদয়। কিন্তু তারাও জুটি ধরে রাখতে পারেননি। শামিম ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও করতে পারেন ২২ রান। জাকের আলীও উইকেটে সেট হয়েছিলেন। কিন্তু দলকে ২০০ পার করার পর তারও বিদায় ঘটে ব্যক্তিগত ২২ রানে। তবে হৃদয় ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু তানজিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে ফেরেন হৃদয় (৫১)।
এই পরিস্থিতিতে সাকিব নিজেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। খেলেন ২১ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। কিন্তু অপরপ্রান্তে আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় দলকে আড়াইশ পার করাতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসও থামে ৪৫.৫ ওভারেই।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট পান আশিথা ফার্নান্দো, ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত