বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। তারা আমাদের প্রিয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। দ্বীন কায়েমের কাজ যত বেগবান হবে, কায়েমী স্বার্থের বাধাও জোরদার হবে। ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের প্রক্রিয়া দেখে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের চেয়েও কঠিন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা এগিয়ে যাব।
শনিবার সকালে ফেনী শহরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে। বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচনে। এ ব্যবস্থায় চোর, ডাকাত সন্ত্রাসী যেন আর নির্বাচিত হয়ে আসতে না পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন যৌক্তিক কারণে আমরা চাই। যারা বিরোধিতা করছে, তারা কেন বিরোধিতা করছে, আমরা জানি না।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, তারা কোনোভাবেই নির্বাচনে আসার সুযোগ পাবে না। আনুষ্ঠানিকতা ও লৌকিকতা ইসলামে নেই। ফলে জামায়াতেও নেই। মানুষ কল্পনা করে আর আল্লাহ পরিকল্পনা করে। এদেশের যুব সমাজের চিন্তার সাথে আমাদের চিন্তার ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যুব সমাজের সৎ কাজে তাদের পাশে থাকায় ওয়াদাবদ্ধ।
ফেনীতে দীর্ঘদিন পর জামায়াতে ইসলামীর রোকন সম্মেলন হয়। সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন সম্মেলনের সভাপতি দলটির জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের মোহাম্মদ মাছুম ও মুহাম্মদ শাহজাহান।
ফেনী জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীম সম্মেলন পরিচালনার শুরুতে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। দিনব্যাপী আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই