গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত যুবক মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (২৭) কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া গ্রামের হারিছ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল মধ্যপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের বাড়ীর সামনে রাস্তায় দুষ্কৃতিকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দ্রুত মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জাহিদুলের স্ত্রী শিফা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বিকেলে জাহিদুলের দুই বন্ধু তাকে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নিয়ে যান। পরে রাতে জানতে পারেন, তার স্বামীকে কারা যেন কুপিয়ে স্থানীয় আড়াল বাজারের উত্তর পাশে ফেলে রেখেছেন।
ঘটনার পর পর কাপাসিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাপাসিয়ার সনমানিয়া গ্রামের মো: জসিম উদ্দিনের ছেলে মো: গাফফার (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত গাফ্ফার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত স্বীকার করে জানান, এলাকায় জাহানারা বেগম নামে এক নারীর বাড়ি নির্মাণের সুবাদে নিহত জাহিদুল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। আদায়কৃত টাকা নিয়ে জাহিদুলের বন্ধুদের নিজেদের মাঝে বিরোধ চলছিল। বন্ধুরা শুক্রবার কৌশলে জাহিদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, নিজেদের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্এ এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যারা হত্যা করেছেন এবং যিনি নিহত হয়েছেন, সবাই একই চক্রের সদস্য। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম