নারীকে ওমানে পাচার করে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত প্রবাসীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ওমান প্রবাসী আসামি বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ জামিন না মঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ওই আসামি হলো কবির মৃধা (৪৫)। সে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিক মৃধার ছেলে।
এর আগে বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ আসামীর অনুপস্থিতিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় দেন। রায়ে ওমান প্রবাসী কবির মৃধাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। জরিমানার অর্থ পাচারের শিকার নারীকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বরাতে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা বলেন, স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়া এক নারীকে ওমানে মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেয়া হয়। প্রলোভনে সাড়া দিয়ে ওই নারী ওমান প্রবাসী কবির মৃধার পরিবারের কাছে টাকা দেয়। ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর নারীকে ওমান পাঠানো হয়। ওমান পৌঁছানোর পর নারীকে কবির মৃধা কোন কাজ না দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে তাকে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে নারীকে কক্ষে আটকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করে। এ ঘটনায় নারীর ভাই ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করে। ওই মামলায় কবির মৃধাকে তার অনুপস্থিতিতে সাজা দেয়া হয়েছিলো।
বিডি প্রতিদিন/এএ