নীলফামারীতে আগাম জাতের আলু আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। মৌসুমের শুরুতেই আলু বাজারে তুলতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন আশা তাদের। স্বল্পমেয়াদি আউশ ধান কাটা, মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আলু রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করছেন তারা। কেউ কেউ খেতে আলু বীজ রোপণ শুরু করেছেন।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে চলছে আলু বীজ বপন ও জমি প্রস্তুত কাজ। চাহিদা বেড়েছে শ্রমিকের, বেড়েছে মজুরিও। রণচন্ডী ইউনিয়নের কুটিপাড়ার কৃষক আবদুল ওহাব বলেন, গত বছর ধান কাটার পর ১ একর জমির আলু ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এবারও বেশি লাভের আশায় ৮০ শতাংশ জমিতে ৫৫-৬০ দিনে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলু বীজ বপন করছি।
বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক ইয়ামিন কবির বলেন, ২৪ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করছেন। বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। আগুর (আগাম) আলু চাষে কোনো মাইরের (ক্ষতি) আশঙ্কা নেই। একই গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক বলেন, গত বছর দুই বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছিলাম। শুরুতে কিছুটা লাভ হলেও পড়ে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে লোকসান হয়েছে। তবুও এবার আলু রোপণ করেছি। আশা করি লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা এখন আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উঁচু জমিতে আলুচাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করেছেন কৃষকরা। গত বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। পুরো জেলায় আলু চাষ করা হয়েছিল ২২ হাজার হেক্টরে।