আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় চিত্রপরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী, যিনি ‘পিংক’, ‘কাদাক সিং’, ও ‘লস্ট’-এর মতো প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এবার তিনিই প্রশংসা করলেন সাদিয়া আয়মান ও ‘উৎসব’ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সব কলাকুশলীর।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন মিজানুর রহমান আরিয়ানের নাটক ‘ফুলের নামে নাম’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর শিহাব শাহীন পরিচালিত ওয়েবফিল্ম ‘মায়াশালিক’-এ অভিনয় দক্ষতাও দর্শকদের নজর কাড়ে।
এরপর বিভিন্ন চরিত্রে তার অভিনয় আরও প্রশংসিত হয়। তবে ২০২৫ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উৎসব’-এ অভিনয়ের পর তিনি নতুন করে আলোচনায় আসেন।
আজ রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে সাদিয়া জানান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী তার ‘উৎসব’ চলচ্চিত্রে অভিনয়কে প্রশংসা করেছেন।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাদিয়া লিখেছেন, “আমার চলচ্চিত্র ‘উৎসব’ নিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর প্রশংসা সত্যিই ভালো লেগেছে। এটি শুধু আমার জন্য নয়, আমার পুরো টিমের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে ধন্যবাদ, স্যার।”
পোস্টের সঙ্গে তিনি একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন। সেখানে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী লিখেছেন, “‘উৎসব’ দেখলাম! তুমি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছ। তোমার সঙ্গে তোমার সহ-অভিনেতা, যিনি স্বামীর চরিত্রে ছিলেন, তার অভিনয়ও দারুণ। প্রতিটি আবেগ এত প্রাকৃতিকভাবে ফুটে উঠেছে যে মনে হয়েছে যেন জীবন থেকে নেওয়া। লেখা ও পরিচালনা দুটিই চমৎকার। পুরো চলচ্চিত্র শেষ করে খুব ভালো লাগল। সকল অভিনেতা ও পরিচালকের সঙ্গে এই অসাধারণ সহযোগিতার জন্য তোমার টিমকে অভিনন্দন।”
এ মন্তব্যের উত্তরে সাদিয়া লিখেছেন, “আহা! অবশেষে আপনি ‘উৎসব’ দেখলেন। সত্যি বলতে, আমি আপনার রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, যেহেতু আপনি আগে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আমার এবং টিমের প্রতি আপনার এই প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। তারা সত্যিই এর যোগ্য। আমি খুবই খুশি, সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ বোধ করছি।”
সাদিয়া আয়মান ও অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর এই বিনিময় সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। অনেকেই অভিনন্দন জানিয়ে সাদিয়ার আরও সফলতা কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সাদিয়া আয়মান বলেন, “এত বড় একজন গুণী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকের কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া আমার জন্য সত্যিই এক ধরনের আশীর্বাদ। একজন শিল্পীর জন্য এর চেয়ে বড় প্রেরণা আর কিছু হতে পারে না। এটা শুধু আমাকে আনন্দ দেয়নি, বরং দায়িত্বও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন স্বীকৃতি খুব স্বাভাবিকভাবেই আরও মনোযোগী হতে শেখায়, ভালো কাজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ করে তোলে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক