এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে সুপার ওভারে হেরে গেল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই দলই যখন সমান ১২৫ রান তুলে ম্যাচকে নিয়ে গেল সুপার ওভারে, তখনও জয়ের আশা ছিল আকবর আলীদের। তবে সুপার ওভারে ব্যাটিং ব্যর্থতা আর চাপ সামলাতে না পারার খেসারতে ট্রফি নিজেদের করতে পারল না তারা। পাকিস্তান শাহীনসের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েই শেষ করতে হলো আকবর আলীদের।
রবিবার কাতারের দোহায় টসে জিতে পাকিস্তান শাহীনসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ ‘এ’। ইনিংসের প্রথম বলেই রান আউট হয়ে গোল্ডেন ডাকের শিকার ওপেনার ইয়াসির খান। দ্বিতীয় ওভারে এস এম মেহেরব ফিরিয়ে দেন ফাইককে। মাত্র ২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা পাকিস্তান।
এরপরও কিছুক্ষণ লড়াই করেন ওপেনার মাজ সাদাকাত, কিন্তু ১৮ বলে ২৩ রান করে থামেন তিনি। গাজী গোরি করেন ৯ বলে ৯। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ১২৫ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে রিপন মণ্ডল নেন ৩ উইকেট। রাকিবুল হাসান ২টি এবং জিসান, সাকলাইন ও মেহেরব প্রত্যেকে তুলে নেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। দুর্দান্ত সব শটে দ্রুত রান তুলে ১৭ বলে ২৬ রান করে ইনিংসকে এগিয়ে নেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ২২ রান। কিন্তু জিসানের (৪ বলে ৬) বিদায়ের পর সোহানও দলীয় ৩৬ রানে আউট হলে শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৩ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায় তাদের।
এ অবস্থায় ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন মেহেরব ও রাকিবুল। দুজন মিলে ইনিংস টেনে নিয়ে যান ৯০ রান পর্যন্ত। এরপর ২১ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে মেহেরব বিদায় নিলে চাপ আরও বাড়ে। রাকিবুলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হন তিনি। শেষ উইকেট জুটিতে আসে অবিশ্বাস্য লড়াই। সাকলাইন ও রিপনের ব্যাটে জেগে ওঠে বাংলাদেশের আশা।
শেষ ওভারে ৭ রান নিয়ে সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ।
সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নামেন সোহান ও সাকলাইন। পাকিস্তানের হয়ে বল করেন আহমেদ ও দানিয়াল।
প্রথম বলে সোহানের ১ রান নিয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু পরের বলেই আউট হন সাকলাইন। এরপর জিসানকে দেওয়া ওয়াইডে ৪ রান পেলেও ব্যাট হাতে নেমেই আউট হন তিনিও। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৬ রান।
৭ রানের টার্গেটে পাকিস্তান ব্যাট করতে নামে সাদাকাত ও মাসুদ। রিপন প্রথম দুই বলে দেন ২ রান দেন। কিন্তু তৃতীয় বলে মাসুদের বাউন্ডারিতে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর সহজেই ২ রান নিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক