কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন বন্ধ থাকলেও চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও শুরু করেছে উচ্ছেদ অভিযান। সকাল থেকে কস্তুরাঘাটের পশ্চিমে বদর মোকাম অংশে উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। এদিকে উচ্ছেদে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগে ৬৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কক্সবাজার নৌবন্দরের পোর্ট কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াকিল বাদী হয়ে বুধবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়, জানিয়েছেন, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান। তিনি জানান, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ এর পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, নদীর দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। গতকাল নদীর কস্তুরাঘাটে নিয়ন্ত্রণ করা হয় চলাচল। তারপর ৩টি এক্সকেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অবৈধ স্থাপনা। এদিকে সেখানে বসবাসকারীরা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। পেশকারপাড়া অংশে সকাল থেকে চলে বিক্ষোভ। সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং বাঁশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।
স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শত শত নারী-পুরুষ সড়কে বসে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বসতি ছাড়বে না তারা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, নুনিয়ারছড়া থেকে মাঝিরঘাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি দখলের ঘটনা ঘটেছে। ১০ থেকে ১২ বছরে এই ৬ কিলোমিটারে ১ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় ভূমি অফিস এবং বিআইডব্লিউটিএ বাঁকখালী নদীর অবৈধ দখলদারদের পৃথক তালিকা তৈরি করেছে। সহস্রাধিক অবৈধ দখলদার থাকলেও দুই তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন প্রভাবশালী।