পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে চলছে নবান্ন উৎসবের আমেজ। একই সাথে নতুন ধান কেটে ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে কৃষকরা। ইতোমেধ্যে আগাম জাতের নতুন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই নতুন ধানের চালের গুড়া দিয়ে পিঠাপুলি পায়েশ তৈরী করে আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম পরেছে গ্রামে পর গ্রাম।
বুধাবার বেলা ১১ টায় উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় নবান্ন উৎসব। শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ সেবাশ্রমের উদ্যোগে বের হয় বর্নাঢ্য র্যালী। এতে ওই গ্রমের শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন। এসময় ঢঙ্কার বাদ্য আর উলুধনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম। র্যলী শেষে আশ্রম প্রাঙ্গনে বিতরন করা হয় নুতন ধানের চালের মলিদা, মুড়ি আর খৈ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মজিবর ফকির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো.মামুন শিকদার, ইউনিয়ন বিএন পি’র সাধারন সম্পাদক মো.মোস্তাফিজ তালুকদার, শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ সেবাশ্রম কমিটির উপদেষ্টা করুন সরকার সহ আরও অনেকে।
অতিথিরা বলেন, ঋতুর পালাবদলের পর প্রকৃতিতে আবারও এসেছে অগ্রহায়ণ মাস। এ মাসের প্রথম তারিখেই গ্রাম বাংলার মাঠে উঁকি দিতে শুরু করে নতুন ফসল। এ ফসল ঘরে তোলার খুশি আর আনন্দে কৃষকরা। নতুন ধান কাটা, আর সেই ধানের প্রথম অন্য খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় এ নবান্ন উৎসব। এ দিনটি পালন করার জন্য কৃষকদের ঘরে ঘরে আনন্দের যেন কোন কমতি নেই।
আয়োজকরা জানান, কৃষি প্রধান দেশে শস্যভিত্তিক উৎসবের সংস্কৃতি এ নবান্ন। গ্রামের সকলকে নিয়ে এই উৎসব পালন করেন তারা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। এ মাসেই শুরু হয় আমন ধান পাকা ও কাটার মৌসুম। তাই নতুন ফসল ঘরে তোলার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে উৎসব উদযাপন করা হয়। তাদের ধারণা, কৃষিকাজ শুরুর সাথে সাথে শুরু হয়েছিল শস্যভিত্তিক এ নবান্ন উৎসবের।
চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে শ্রী শ্রী হরি গুরুচাঁদ সেবাশ্রমের সভাপতি রনজিৎ শিকদার জানান, তারা প্রতি বছরই এই নবান্ন উৎসব পালন করেন। তবে দিনভর চলবে নানা অনুষ্ঠান।
উল্লেখ অগ্রহায়ন মাস জুড়েই কৃষকরা মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত থাকবে। আর কৃষাণিরা ঘরে ব্যস্ত থাকবেন ঢেঁকিতে ধান ভানায়।
বিডি প্রতিদিন/এএম