দীর্ঘ ২০ বছর পর বলিভিয়ার একটি ছোট পুকুরে পাওয়া গেছে বিরল এক মাছের প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা আগে ধরে নিয়েছিলেন ‘মোয়েমা ক্লাউডিয়া (Moema claudiae)’ নামের এই মৌসুমি কিলিফিশটি হয়তো সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ এর প্রাকৃতিক বসবাসস্থান কৃষিজমিতে রূপান্তরের ফলে প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। খবর নিউজউইকের।
গবেষকেরা বলছেন, এ আবিষ্কার তাদের জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। গবেষণা দলের সদস্য থমাস লিয়েটজ জানান, এই প্রজাতিকে পুনরায় খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন তারা মাছটিকে তার স্বাভাবিক পরিবেশেই রক্ষা করার পরিকল্পনা নিতে পারবেন। তিনি দীর্ঘদিনের সহযোগিতার জন্য অধ্যাপক উইলসন কোস্তাকেও ধন্যবাদ জানান যিনি মাছটির নামকরণ করেছিলেন তার স্ত্রী ক্লাউডিয়ার নামে।
মোয়েমা ক্লাউডিয়ার মতো মৌসুমি মাছ বর্ষা বা নির্দিষ্ট মৌসুমে তৈরি হওয়া ছোট পুকুরে বেঁচে থাকতে পারে। এসব জায়গা খুবই ভঙ্গুর এবং সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানবসৃষ্ট পরিবর্তন তাদের টিকে থাকার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বলিভিয়ায় প্রাথমিক ট্রপিকাল বনাঞ্চল সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে। ৩২টি মৌসুমি কিলিফিশের অর্ধেকেরও বেশি কেবল বলিভিয়াতেই পাওয়া যায়। যেসব প্রজাতির ঝুঁকি মূল্যায়ন করেছে আইইউসিএন তাদের মধ্যে আটটি বিপন্ন তালিকায় রয়েছে। মোয়েমা ক্লাউডিয়াকেও বহুদিন ধরে ‘চরম বিপন্ন এবং সম্ভাব্য বিলুপ্ত’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই একটি ছোট বনাঞ্চলের অস্থায়ী পুকুরে মাছটির বেঁচে থাকা খুঁজে পান একদল বিজ্ঞানীরা। তারা মাছটির জীবিত ছবি তুলতে এবং এর আচরণ ও বাস্তুসংস্থান সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।
গবেষণায় আরও জানা যায়, একই পুকুরে আরও ছয় ধরনের মৌসুমি কিলিফিশ রয়েছে। ফলে অঞ্চলটি এখন কিলিফিশের বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জিনগত বৈচিত্র্যের আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল