রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার বিসিআইসি সার ডিলার তুহিনা আক্তারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন এক কৃষক। কৃষক তার চাহিদা অনুযায়ী সার দাবি করলে, তুহিনা তাকে বাড়তি দাম লাগবে বলে জানান। কৃষক বাড়তি দাম দিতে রাজি হলে, সার কখন কোথায় সরবরাহ করা হবে, সেটি জানান ডিলার তুহিনা।
শুধু তুহিনা নন, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সারের বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। পাশাপাশি সাব ডিলার যারা, তাদেরও বাড়তি দামে সার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কৃষক আবদুল কুদ্দুস গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বিসিআইসি ডিলার জিকে ট্রেডার্স সার দিতে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
কাঁকনহাট বাজারের খুচরা সার ব্যবসায়ী আল-আমিন জানান, ‘ডিএপি ১০৫০ টাকা বস্তা হলেও কৃষকভেদে নেওয়া হচ্ছে ১৩৮০-১৪৮০ টাকা। এমওপি সারের সরকারি দর এক হাজারের নিচে হলেও ১১৫০ টাকা বস্তা নিচ্ছেন ডিলাররা। টিএসপি সারের সরকারি দর ১১৫০ হলেও ১৪৫০-১৪৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।’ তবে ডিলার তুহিনা আক্তার বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে রাজশাহী সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উসমান আলী জানান, ডিলাররা বাড়তি দামে সার বিক্রি করছেন-এমন অভিযোগ কোনো কৃষক বা সাব ডিলার তার কাছে করেননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে রাজশাহী সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব উম্মে ছালমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।