সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার মহিষখলা বাজারে পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে এক কর্মী নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা মুক্তার হোসেন ও যুবদল নেতা দেলোয়ার হোসেন, হারুন মিয়া ও হৃদয়ের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত দেলোয়ার হোসেন (৬০) উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলার বাগলী শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানিকৃত চুনাপাথরবোঝাই প্রতিটি ট্রাক থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন বিএনপি নেতা মুক্তার হোসেন। এ নিয়ে যুবদল নেতা দেলোয়ার গ্রুপের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যার পর মহিষখলা বাজারে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। চাঁদাবাজি নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা এমনটা শুনেছি।
এদিকে মেহেরপুরের গাংনীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে গাংনী বাসস্ট্যান্ড চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সওজ বিভাগের উচ্ছেদ করা মালেক ফল ভান্ডারের স্থানে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।