জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত হলে আগামী ১০ বছরে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে চায় বাংলাদেশ। এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) ৩.০-এ এমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন শর্তহীন এবং ৯০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার শর্তসাপেক্ষ বিনিয়োগ ধরা হয়েছে। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস নির্ভর করছে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে এনডিসি ৩.০ নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এনডিসি ৩.০-এ ২০৩৫ সালের মধ্যে মোট ৮৪ দশমিক ৯২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড সমতুল্য গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন শর্তহীনভাবে এবং ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন টন শর্তসাপেক্ষে হ্রাস করা হবে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এনডিসি ৩.০ কেবল নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নয়, বরং এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার। এজন্য নারী, শিশু, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জলবায়ু-অভিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জলবায়ু পদক্ষেপগুলোকে মানবাধিকারভিত্তিক করতে হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।