এশিয়া কাপে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের ৪ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জয়ের কারিগরদের একজন তাওহিদ হৃদয়। শুরুতে সাইফ হাসান ঝড় তোলার পর বাকি পথের দায়িত্ব নেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটার। এদিন ৩৭ বলে ৫৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি।
টানা কয়েক ম্যাচের ব্যর্থতায় একের পর এক সমালোচনার তীর ছুটে আসছিলো তার দিকে। অবশেষে নিজের ছায়া থেকে বের হয়ে এলেন হৃদয়। ম্যাচ শেষে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
ফেসবুকে হৃদয় লেখেন, “চেষ্টা সবসময়ই থাকে। তবে ভাগ্য ও রিযিক হয়তো সবসময় একরকম থাকে না। বাংলাদেশের জন্য খেলি, নিজের সর্বোচ্চ ও সর্বশেষটুকু দিয়ে হলেও মাঠে লড়াই করতে তাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া সব খারাপ এবং ভালোর জন্য।”
শনিবারে ম্যাচে আবারও নিজের জাত চেনালেন হৃদয়। বিশেষ করে সাইফ আউট হওয়ার পর দলকে চাপে পড়তে দেননি। বরং নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে সচল রেখেছেন রানের চাকা। যার ফলে পুরো সময়ে কখনও মনে হয়নি ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
জয়ের জন্য ১০ রান বাকি থাকতে এক ফুল টস ডেলিভারিতে আউট হন হৃদয়। ৪ চার ও ২ ছক্কায় তিনি খেলেন ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাইফ। তবে এটি হৃদয়ের হাতে উঠলেও খুব একটা অযৌক্তিক হতো না।
পাকিস্তান সফর থেকে শুরু করে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব পর্যন্ত খেলা ১৪ ম্যাচের ১২ ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি তিনি। এমনকি চল্লিশ রানের ইনিংসও ছিল না।
ওই ১২ ইনিংসের দুইটি অপরাজিত থাকার সৌজন্যে ২২.৯০ গড় ও মাত্র ১০০.৮৮ স্ট্রাইক রেটে ২২৯ রান করেন হৃদয়। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষে তার ৩৬ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে সমালোচনা হয় অনেক। সেসব পেছনে ফেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের জয়ে বড় অবদান রাখলেন হৃদয়।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম